বাংলাদেশকে হারাবে জিম্বাবুয়ে!

পিটার মুর
পিটার মুর

‘সিরিজে এখন যে অবস্থা তাতে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের দুই দলই এখন বাংলাদেশের কৃপাপ্রার্থী হতে পারে।’ ত্রিদেশীয় সিরিজে পয়েন্ট তালিকার এখন যে অবস্থা তাতে বাংলাদেশের সাধারণ কোনো ক্রিকেটপ্রেমী এ রকম বলে ফেললে তাঁকে দোষ দেওয়া যাবে না। নিজেদের মধ্যে একটি করে ম্যাচ জিতে এখন মোটামুটি একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা। দুই দলের পয়েন্টই সমান (৪), তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে সামান্য এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। কাজেই ফাইনালে যাওয়াটা দুই দলের জন্যই নির্ভর করছে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের ওপর।

কাল অনুশীলন শেষে জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান পিটার মুরও বলে গেলেন সে কথা, ‘আমরা একটি লক্ষ্য নিয়ে এখানে এসেছি, শুধু অংশগ্রহণের জন্য নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো খেলতে দলের সবাই খুবই আত্মবিশ্বাসী। ফাইনাল খেলতে পারলে সেটা বিশাল ব্যাপার হবে দলের জন্য।’

মার্চে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য জিম্বাবুয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের এই ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকেই। কিন্তু প্রথম ম্যাচে অমন হতাশা-জাগানিয়া হারের পর বাংলাদেশকে হারানোর স্বপ্নটা কি ‘দুঃসাহস’ হয়ে যাচ্ছে না! মুর একেবারেই একমত নন এর সঙ্গে, ‘প্রথম ম্যাচে অনেক কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। কিন্তু উইকেট আর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছি। আমাদের সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশকে হারানো সম্ভব।’

তবে বলাটা যত সহজ, করে দেখানোটা যে অত সহজ নয়, সেটা স্বীকার করছেন জিম্বাবুয়ের এই ক্রিকেটার, ‘আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি স্পিন। তা ছাড়া শেষের দিককার ওভারগুলোয় মোস্তাফিজ আর রুবেল রীতিমতো ভয়ংকর। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় এনেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। আমার বিশ্বাস আমরা সেটা করতে সক্ষম।’

জিম্বাবুয়ে আজ সত্যিই বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলেও তাতেই সবকিছু হয়ে যাচ্ছে না। চাতকের মতো চেয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিকে। আপাতত অত দূর না ভেবে নিজেদের কাজ নিয়েই ভাবতে চায় ক্রেমারের দল। জিম্বাবুয়েকে ভাবাচ্ছে মিরপুরের উইকেটও। তিন ম্যাচে তিন ধরনের উইকেট পেয়ে খানিকটা অবাক মুর, ‘আমরা যে তিনটা ম্যাচ খেলেছি, তিন ম্যাচের উইকেটই আলাদা। সেটা এক দিয়ে ভালো, তিনটি উইকেট সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা হয়ে গেছে। কোনো দিন ২৮০ ভালো স্কোর, কোনো দিন ২৫০ আবার কোনো দিন ২০০ রানও ভালো। এখন আমাদের কাজ হলো, যে উইকেটই বাংলাদেশ তৈরি করুক না কেন তার জন্য প্রস্তুত থাকা। যত দ্রুত সম্ভব উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।’

জিম্বাবুয়ের ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণের প্রাথমিক শর্ত সেটাই।