ভাগ্যের কাছে হেরে গেল সাইফ

# এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
# একতরফা খেলেও বাংলাদেশের সাইফ হেরেছে ১-০ গোলে
# ভাগ্য সহায় ছিল না সাইফের। বেশ কয়েকবার সাইফকে গোলবঞ্চিত করে ক্রসবার

‘কারা যাবেন মালদ্বীপ?’—ফিরতি পর্বে দলের সঙ্গে মালদ্বীপে যাওয়ার সুযোগ। তিন ভাগ্যবান খুঁজে নেওয়ার জন্য খেলার মধ্যাহ্নবিরতিতে র‌্যাফল ড্রয়ের ব্যবস্থা করেছিল স্বাগতিক সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। কুপনের ঝুড়িতে সাইফের নাম থাকলে, এটা নিশ্চিত যে মালদ্বীপ যাওয়ার তালিকায় তাদের নাম উঠত না। এএফসি কাপের প্রাথমিক রাউন্ডে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে ভাগ্যটাই যে সহায় ছিল না তাদের। পুরো ম্যাচে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করেও ম্যাচটা সাইফ হেরেছে ১-০ গোলে।

প্রথমার্ধের ২৩ মিনিটে বলার মতো একটি সুযোগই পেয়েছিল অতিথিরা, তা–ও কাউন্টার অ্যাটাকে। সেখান থেকেই ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছেন কিরগিজস্তান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ভ্লাসিভ আনাতোলি। ইসান ইব্রাহিমের পাস বক্সের ওপরে নিয়ন্ত্রণে নিয়েই জোরালো শটে গোলে পাঠান কিরগিজ মিডফিল্ডার। সাইফের সেন্টারব্যাক তপু বর্মণ সেখানে ছিলেন নির্বাক দর্শক। সমতায় ফেরার অনেক সুযোগই পেয়েছিল সাইফ। কিন্তু গ্যালারিতে ‌‌ ‘ইশ্‌’, ‘আহ্‌’ শব্দের মধ্যেই মিলিয়ে গিয়েছে তা। গোল হজমের পরের মিনিটেই আকরোর ব্যাক ভলি গোল লাইনে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সাইফের কিংসলে।

৩৩ মিনিটে রহমত মিয়ার থ্রোইন থেকে এসেছিল আরও একটি সহজ সুযোগ। বক্সের মধ্যে থেকে প্রথমে কিংসলে শট নিলে ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে জনির শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। দর্শকদের আফসোসটা আরও বাড়ে একটু পরে। গোললাইনের মাত্র ১৫ গজ (প্রায়) দূর থেকে একটি ইনডাইরেক্ট ফ্রিকিকও পাওয়া গেল। কিন্তু প্রতিপক্ষের গায়ে মেরে তা নষ্ট করেছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার রিংহাম।

গোটা দ্বিতীয়ার্ধ জুড়েই সাইফের আধিপত্য ছিল অব্যাহত। ৪৯ মিনিটে গোলমুখের সামনে থেকেও বল পোস্টে রাখতে পারলেন না সাইফের ডিফেন্ডার ডেইনার । এর ৬ মিনিট পরেই জামালের প্লেসিং দুর্দান্তভাবে রক্ষা করেছেন বদলি গোলরক্ষক ইব্রাহিম নাদিম। সাইফের আক্রমণে একেবারেই স্যান্ডউইচ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল টিসির। ৫৯ মিনিটে কিংসলের সাইড ভলি সাইডবারে লেগে ফিরে আসে। এতেও যদি শেষ হতো দুর্ভাগ্য। দুর্ভাগ্যের আরও বাকি ছিল। ৮৮ মিনিটে শেষবারের মতো আবারও নিজের ভেলকি দেখিয়েছে ক্রসবার। কিংসলের বুলেট গতির শট আবারও ফেরত আসে ক্রসবারে লেগে।
ভাগ্য আসলেই ফুটবলে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।