তবু দায় নিচ্ছেন তামিম

# ভুল সময়ে তামিম আউট হওয়ায় স্কোরটা বড় হয়নি বাংলাদেশের
# ২৩ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ
# টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে তামিমের

ম্যাচসেরা হয়েও ম্যাচে করা ভুলের দায় মাথা পেতে নিচ্ছেন তামিম। ছবি: প্রথম আলো
ম্যাচসেরা হয়েও ম্যাচে করা ভুলের দায় মাথা পেতে নিচ্ছেন তামিম। ছবি: প্রথম আলো

২২০ রানের কম করে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছেই মাত্র তিনবার। কোনোটাই নিকট অতীতের ঘটনা নয়। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সেই জয়টা তো স্মরণীয় হয়েই আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৪ রান করেই ম্যাচ জেতাটাও। আর সর্বশেষ যে জয়, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচটিও ৫ বছর পুরোনো স্মৃতি।

আজ তাই একটা ভয় ছিলই। ২১৭ রানের লক্ষ্য কঠিন নয়। উইকেট যতই ব্যাটসম্যানদের জন্য প্রতিকূল হোক না কেন; শুরুর দিকে জিম্বাবুয়ের একটি-দুটি ভালো জুটি চাপটা বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিতে পারত। তবে শুরু থেকে বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিং ফাঁসটা আঁটো করে রেখেছিল জিম্বাবুয়ের জন্য।

তামিম-সাকিবের পর সেভাবে আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেনি। একসময় ২ উইকেটে ১৪৭ ছিল স্কোর। শেষটা ভালো হয়নি মোটেও। যদিও তামিম জানালেন, তাঁর বিশ্বাস ছিল, বাংলাদেশ পারবে, ‌‘একটা জিনিস বুঝতে পারছিলাম যে ২০০ রানের ওপরে যা-ই হোক না কেন, সেটা তাড়া করা কঠিন হবে। উইকেট অত সহজ ছিল না। স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাট করাটাই বিশেষ করে কঠিন ছিল। একই সঙ্গে ফাস্ট বোলারদের জন্য বলে সিম মুভমেন্ট ছিল। বুঝতে পারছিলাম ২০০-র ওপরে করলে একটা সুযোগ থাকবে। আর শুরুতে উইকেট নিতে পারাটা হবে চাবিকাঠি।’

বাংলাদেশ আজ ১৭১টি ডট বল খেলেছে। সাকিব-তামিম সবচেয়ে বেশি ডট খেলেছেন। বাংলাদেশের শেষ অংশের পতনটার দায়ও তামিম নিলেন, ‘আমি নিজেকে দায় দেব। কারণ, আমি ততক্ষণে ১০০টা বল খেলে ফেলেছিলাম। সিনিয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল অন্তত ৪৫ ওভার পর্যন্ত খেলে আসা। যে সময় আমাদের দুটি উইকেট, রিয়াদ ভাই-মুশফিক আউট হলো...আসলে যেকোনো নতুন ব্যাটসম্যানের জন্যই ওই উইকেটে গিয়ে ব্যাট করাটা সত্যিই খুব কঠিন। আপনারা যদি ক্রেমারের বল দেখেন, একটা স্পিন করছে, আরেকটা সোজা চলে যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে খুব কঠিন ছিল তাকে খেলা।’

তামিম-সাকিব দুজনের আউট হওয়ার ধরনও এক। ভুল থেকে শিখতে পারেন বলেই তামিম এখন অন্য রকম। বাজে উইকেটে অসাধারণ ইনিংস খেলেও তামিম তাই এখান থেকেও শিক্ষা নিচ্ছেন, ‘অবশ্যই ওই সময়ে আক্রমণ করা ভুল ছিল। তবে বোলার ছিল লেগ স্পিনার, আমি বাঁ হাতি। আমারই সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমি অনেকক্ষণ ধরেই তাকে টার্গেট করছিলাম। কারণ তখন আমাদের উইকেটের পর উইকেট পড়ছিল। রিয়াদ ভাই পড়ল, মুশফিক পড়ল। ভাবছিলাম এই সময়ে যদি আমি ওকে এক-দুইটা মেরে দিতে পারি তাহলে ঠিক আছে। তবে মুশফিক উইকেটে থাকার সময় যদি মারতে গিয়ে আউট হতাম, তাহলেও সমস্যা হতো না। কারণ, আমাদের তখনো ৫-৬টি ব্যাটসম্যান বাইরে ছিল। কিন্তু যে সময় আমি আউট হয়েছি, তখন যদি আমি আরও পাঁচটা ওভার পার্টনারশিপ গড়ে যেতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো।’

আরও একবার সেঞ্চুরিটা মাঠে ফেলে এলেন। এখান থেকেও শিক্ষা নিতে পারেন তামিম, ‘সেঞ্চুরি করতে পারলে তো অবশ্যই ভালো হতো। কারণ গত তিন ম্যাচে এত দূর এসেও আর কিছু রান করতে না পারাটা সব সময়ই হতাশার। এটা আমার বলার দরকার নাই, আপনারাও বুঝছেন। আজ ভালো সুযোগ ছিল। খুব বিশেষ কিছু না, যদি আরও ৬-৭ ওভার ব্যাট করতে পারতাম, তাহলে সেঞ্চুরি হতো। যদি এক রান করে নিতে পারতাম আরও ৬ ওভার, তাহলে এটা হতো না।’