মাশরাফির চোখে হাবিবুলের একটি জয় দুটির সমান

♦ মাশরাফির কাছে বাংলাদেশের জয় মানেই একটা বিরাট ব্যাপার।

♦ মাশরাফির বিশ্বাস, হাবিবুলের সময়ে আসা জয়গুলোই বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভিত শক্ত করতে বেশি ভূমিকা রেখেছে।

পূর্বসূরি হাবিবুলের অর্জনকেই বড় করে দেখছেন মাশরাফি। আজ সোনারগাঁও হোটেলে। ছবি: প্রথম আলো
পূর্বসূরি হাবিবুলের অর্জনকেই বড় করে দেখছেন মাশরাফি। আজ সোনারগাঁও হোটেলে। ছবি: প্রথম আলো

হাবিবুল বাশারের মন খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই। রেকর্ড হয়ই তো ভাঙার জন্যই! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাল ৯১ রানের বড় জয়ের পর তাই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের সঙ্গে হাততালি দিতে দিতেই মাঠে নেমে আসেন তিনি। হাততালি বাংলাদেশ দলকে বাহবা জানাতে। হাততালি মাশরাফি বিন মুর্তজাকে অভিনন্দন জানাতেও।

অধিনায়ক মাশরাফিকে আলাদা করে অভিনন্দন জানানোর কী আছে? কাল ওই জয়ের মধ্য দিয়েই যে হাবিবুলের একটা রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক! কালকের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ছিল সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুলের। ৬৯টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছেন ২৯টিতে। আর মাশরাফি এ নিয়ে ৫৩ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জয় পেয়েছেন ৩০টি। পূর্বসূরি হাবিবুলের অভিনন্দন পেতেই পারেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

কিন্তু মাশরাফির চোখে এই অর্জন মোটেও বড় কিছু নয়। আজ দুপুরে সোনারগাঁও হোটেলের পুলপাড়ে বসে বলছিলেন, ‘আমার কাছে এটা বড় কিছু নয়। কখনো ছিলও না। এটা খুবই ক্ষণস্থায়ী একটা ব্যাপার। এর আগে সুমন ভাইয়ের (হাবিবুল বাশার) বেশি জয় ছিল। এখন আমার।’ মাশরাফির বরং বিশ্বাস, হাবিবুলের সময়ে আসা জয়গুলোই বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভিত শক্ত করতে বেশি ভূমিকা রেখেছে, ‘সুমন ভাইয়ের জয়গুলো যদি দেখেন, একেকটা দুইটার সমান। ওই সময়টাই খুব কঠিন ছিল। এখন আমাদের দল ভালো খেলছে। লক্ষ্যও অন্য রকম, পরের ধাপে যাওয়া।’

মাশরাফির কাছে বাংলাদেশের জয় মানেই একটা বিরাট ব্যাপার, সেটি যে অধিনায়কের নেতৃত্বেই আসুক না কেন, ‘প্রত্যেকটা জয়ই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অধিনায়কের নেতৃত্বে যদি বাংলাদেশ একটা ম্যাচও জিতে থাকে, সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভবিষ্যতে যারা আসবে, তাদের জয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণই হবে। দলকে ঠিক পথে রাখা আমার কাজ। আমি শুধু সেটাই করার চেষ্টা করছি।’

হাবিবুলকে ছাড়িয়ে গেছেন। মাশরাফির সামনে এখন প্রতি ম্যাচেই আসবে নতুন চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।