এই উইকেট চায়নি বাংলাদেশ

* মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজে সাতটির পাঁচটিই লো স্কোরিং ম্যাচ।
* আজ ফাইনালেও ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
* ফাইনালে যে উইকেটে খেলা হয়েছে সেটি চাননি মাশরাফিরা।

এভাবেই মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।
এভাবেই মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।

কাল দুপুরে অনুশীলন শেষে কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে ‘হার্ড, মোর হার্ড’—কিছু একটা বলতে বলতে ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন সাকিব আল হাসান। আইসিসির টুর্নামেন্ট বাদে প্রায় সব কিউরেটরই স্বাগতিকদের চাহিদাপত্র মেনেই উইকেট তৈরি করেন। কিন্তু ব্যতিক্রম মনে হতে পারে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।
শ্রীলঙ্কান কিউরেটর গামিনি আজ ফাইনালে যে উইকেট উপহার দিয়েছেন, সেটি কিছুতেই চায়নি বাংলাদেশ। কেমন উইকেট চেয়েছিলেন মাশরাফিরা? ১৯ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে উইকেট খেলা হয়েছিল সেটিই চেয়েছিলেন মাশরাফিরা। যেটি ব্যাটসম্যানদের জন্য কাঁটা বিছানো পথ হবে না, আবার বোলাররাও চেপে ধরতে পারবে প্রতিপক্ষকে। এ সূত্র মেনে সেদিন বাংলাদেশের দেওয়া ৩২০ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা অলআউট ১৫৭ রানে।
আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮২ রানে অলআউট হওয়ার পরেই শুধু নয়, জিম্বাবুয়েকে ২১৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৯১ রানের বিশাল জয়ের পরও বাংলাদেশ দল থেকে বারবার বার্তা দেওয়া হয়েছে ফাইনালের উইকেট যেন ‘ভালো’ হয়। মাশরাফিদের চাওয়াটা পূরণ হয়নি।
মাশরাফি সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি না বললেও আকারে-ইঙ্গিতে বোঝালেন, তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী উইকেট দেওয়া হয়নি, ‘শুরু থেকেই আমরা ভালো উইকেট চেয়েছিলাম। প্রথম ম্যাচ থেকেই চেয়েছি হাই স্কোরিং উইকেটে ব্যাটিং করতে। আমাদের বোলিং আক্রমণে চার পেসার ছিল; সাকিব, নাসির, মিরাজ ছিল। আমাদের বোলিং আক্রমণ শক্তিশালী ছিল। আমরা চেয়েছি ভালো উইকেটে খেলতে।’
মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজে সাতটির পাঁচটিই হয়েছে লো স্কোরিং ম্যাচ। কেন বাজে উইকেট—এই প্রশ্নে মাশরাফিরা স্টিভ স্মিথের মতো কিউরেটরকে কাঠগড়ায় তুলতে পারেন না। তুললেই যে বড় শাস্তি, সেটা তো বিপিএলে তামিম ইকবাল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন! কিউরেটরের জবাবদিহি যারা চাইতে পারে, সেই বিসিবি কেন যেন এ নিয়ে নীরব!