বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন ফেদেরার?

২০তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন রজার ফেদেরার। ছবি: এএফপি
২০তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন রজার ফেদেরার। ছবি: এএফপি

রজার ফেদেরারের অস্ট্রেলিয়া ওপেন জয় এখনো গরম গরম থাকতেই বিতর্ক শুরু হলো। তার বিতর্কের কেন্দ্রেও আছে গরম। এবার অস্ট্রেলিয়ায় অতীতের সব রেকর্ডভাঙা গরম পড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে খেলোয়াড়দের ফিটনেসে। এখানেই ফেদেরার বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

এবার গরমের জন্য ৯ জন খেলোয়াড় টেনিস কোর্ট ছেড়েছিলেন। কেবল পুরুষ এককে ৫ জন চোটে পড়ে খেলা শেষ করার আগে হার মেনেছেন। যার মধ্যে রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচের নামও আছে। নাদাল-ভক্তদের প্রশ্নটা এখানেই। স্পেন তারকার প্রতিটি ম্যাচ হয়েছে সকালের সময়ে। যখন রোদের প্রখর তাপ। ফেদেরারের ৭ ম্যাচের ৬টি সন্ধ্যায়, দ্বিতীয় সেশনে। গতবারও তাঁর খেলা রাখা হয়েছিল রাতে। যখন গরম থাকে কম।

শুধু তা-ই নয়, প্রশ্ন উঠেছে স্টেডিয়ামের ছাদ বন্ধ করা নিয়েও। জোকোভিচ কিংবা নাদাল যখন মাঠে ছিলেন, এমনকি চোটের জন্য যখন সময় ও চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, তখন স্টেডিয়ামের ছাদ খোলা ছিল। সেমিফাইনালে চুং তাঁর পায়ে ফোসকা নিয়ে খেলছিলেন, তখনো মাঠের ছাদ বন্ধ করা হয়নি। নিয়ম হলো কোনো খেলোয়াড় চাইলে অন্য খেলোয়াড়ের সম্মতিতে ছাদ বন্ধ করা যায়।

তবে ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর চিলিচ দাবি করেছেন, তাঁর সম্মতি ছাড়াই ফাইনালে ছাদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। চিলিচ নিজেও পুরো ফিট ছিলেন না। নাদালের বিপক্ষে ম্যাচটি ছাড়া তাঁর বাকি সব ম্যাচ ছিল আউটডোরে। কাল ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘প্রতিটি ম্যাচ ৩৮ ডিগ্রিতে খেলেছি, আর এই ফাইনাল খেলেছি ছাদ বন্ধ থাকা অবস্থায়। অবশ্যই এ সিদ্ধান্ত আমার খেলায় প্রভাব রেখেছে। আয়োজকেরা আমাকে এসে বলে ছাদ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনটা হতে পারে তা ভাবিনি। তাপমাত্রা ৩৪ থেকে যখন ২৩ ডিগ্রিতে নেমে এল, তা অবশ্যই আমার সমস্যার সৃষ্টি করেছে। পরে ছাদ খুলে দেওয়ার কথা বললেও তারা সায় দেয়নি।’