বাংলাদেশ-দ. আফ্রিকার দুঃস্বপ্নের 'ভ্যালেন্টাইনস ডে'

• ১৪ ফেব্রুয়ারি দুঃস্বপ্নের বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য।
• ১৮৯৬ সালে টেস্টে ৩০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
• ২০০৩ সালে ম্যাচের প্রথম ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
• চামিন্ডা ভাস ম্যাচের প্রথম তিন বলে হ্যাটট্রিক করেছিলেন।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম তিন বলেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন ভাস। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম তিন বলেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন ভাস। ফাইল ছবি

১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে—ভালোবাসার দিন। এটি একটি আনন্দের দিন হতে পারে, কিন্তু ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দিনটি দুঃস্বপ্নের। এই দিনটিকে ভুলে যেতে পারলে যেন বাঁচে দুটি দেশই। ক্রিকেটে এ দিনই যে লজ্জার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাদের।

১৮৯৬ সালের এদিনেই টেস্টে মাত্র ৩০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পোর্ট এলিজাবেথে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সংগ্রহ টেস্টের সর্বনিম্ন সংগ্রহ হিসেবে টিকে ছিল ৬১ বছর। ১৯৫৫ সালের ২৫ মার্চ অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ২৬ রানে অলআউট হয়ে সে প্রোটিয়াদের ‘রেহাই’ দেয় নিউজিল্যান্ড। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০ এখনো টেস্টের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। পোর্ট এলিজাবেথে সেদিন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলেন জর্জ লোহম্যান। ৮ রানে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। প্রথম ইনিংসে তিনি ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৮ রানে।

১০৭ বছর পর এই ১৪ ফেব্রুয়ারিতেই একটি ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুঃস্বপ্নের মতোই। অবশ্য বাংলাদেশের দুঃস্বপ্নটির সঙ্গেও কাকতালীয়ভাবে জড়িয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার পিটারমারিজবার্গে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম তিন বলে বিনা রানে তিন উইকেট হারিয়ে চামিন্ডা ভাসের হাতে হ্যাটট্রিক তুলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এক বল বিরতি দিয়ে আরও একটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ভাস। আউট হয়েছিলেন হান্নান সরকার, মোহাম্মদ আশরাফুল, এহসানুল হক ও সানোয়ার হোসেন। মাঝখানে ‘উইকেটশূন্য’ বলটিতে অবশ্য একটি চার মেরেছিলেন সানোয়ার। স্কোরবোর্ডটি দেখাচ্ছিল রীতিমতো ভৌতিক—৪/৪।

নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে দাঁড়িয়ে ভৌতিক অবস্থা দেখছিলেন আল শাহরিয়ার। পরে কোনো একটা সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, এই কাণ্ড দেখে নাকি তাঁর হাত-পা কাঁপছিল!