মুজিবের রেকর্ডে বাংলাদেশের 'তিন'

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিচ্ছে মুজিব উর রহমান। ছবি: টুইটার
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিচ্ছে মুজিব উর রহমান। ছবি: টুইটার
  • জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নিয়েছে মুজিব উর রহমান।
  • এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে আফগানিস্তান।

১৬ বছর বয়সী ছেলেটি প্রায় এক মাস আগেও ছিল আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার। সেখান থেকে জাতীয় দলে উঠে এসেই গড়েছে রেকর্ড। একুশ শতকে জন্ম নেওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার! মুজিব উর রহমান কিন্তু এত অল্পেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি। শারজায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে গড়েছে দারুণ এক রেকর্ড—ওয়ানডেতে কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে এক ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছে আফগান এ অফ স্পিনার।

আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচেই জিম্বাবুয়েকে হারানোর পর ওয়ানডে সিরিজেও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল আফগানিস্তান। অর্থাৎ চতুর্থ ম্যাচটা জিতলে ওয়ানডে সিরিজও জিতে নিত দলটি। এই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে কোনো পাত্তাই দেয়নি আফগানরা। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে মাত্র ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায়। মূলত, দুই আফগান স্পিনার মুজিব ও রশিদ খানের কাছেই হেরেছে গ্রায়েম ক্রেমারের দল। মুজিব ৫০ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রশিদের শিকার ২৮ রানে ২ উইকেট।

স্বল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রায় টি-টোয়েন্টির মতোই ব্যাটিং করেছে আফগানিস্তান। ২১.১ ওভারেই তারা জয়ের বন্দরে নোঙর করেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে। এ জয়ে ৩-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিল আসগর স্টানিকজাইয়ের দল। সোমবার শারজায় শেষ ওয়ানডে।

নিউজিল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের হারিয়ে আফগানদের সেমিতে ওঠার নেপথ্যে ৪ উইকেট নিয়ে দারুণ অবদান রেখেছিল মুজিব। এরপরই তাকে ৪ কোটি রুপিতে কিনে নিয়েছিল আইপিএলের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তবে শারজায় মুজিব যা করেছে, তাতে আইপিএলে যে তাকে নিয়ে পাঞ্জাবের প্রত্যাশা আরও বাড়বে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ওয়ানডেতে কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে এক ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়ার পথে মুজিব পেছনে ফেলেছে ওয়াকার ইউনিসকে।

১৯৯০ সালে এই শারজাতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮ বছর ১৬৪ দিন বয়সে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি এ পেসার। মুজিব সেই রেকর্ড ভাঙলেন মাত্র ১৬ বছর ৩২৫ দিন বয়সে! এ তালিকায় তৃতীয় বোলারটিও কিন্তু মুজিবের সতীর্থ—রশিদ খান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছর ১৮ বছর ১৭৮ দিন বয়সে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রশিদ।

মজার ব্যাপার হলো, কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে ৫ উইকেট কীর্তির তালিকার শীর্ষ দশে বাংলাদেশিই তিনজন। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮ বছর ৩৬১ দিন বয়সে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন আফতাব আহমেদ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে এক ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখনো তাঁর দখলে। এরপরই রয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ১৯ বছর ৭৫ দিন বয়সে তাসকিন ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। পরের বছর সেই ভারতের বিপক্ষেই মোস্তাফিজুর রহমান ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ১৯ বছর ২৮৫ দিন বয়সে।