বাংলাদেশ যেন ভালো করে, সব সময়ই চাইবেন হাথুরু

হাথুরু স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের চেনাজানাটা তাঁকে কাজে দিয়েছে। ছবি: প্রথম আলো
হাথুরু স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের চেনাজানাটা তাঁকে কাজে দিয়েছে। ছবি: প্রথম আলো
• জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেট ও শ্রীলঙ্কাকে ১৬৩ রানে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
• সেই বাংলাদেশ পরে কেন ভেঙে পড়ল, সেটির একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
• হাথুরু স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জানাশোনাটা তাঁকে কাজে দিয়েছে।
• তিনি সব সময়ই চাইবেন, বাংলাদেশ যেন ভালো করে

আশঙ্কাটা বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা করেছিলেন সিরিজের আগেই। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তাঁদের ভেতর-বাহির সবই জানেন। শ্রীলঙ্কান কোচ সেটি কাজে লাগাবেন তাঁর প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে। হাথুরু আগে অবশ্য বলেছিলেন, প্রযুক্তি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এ যুগে প্রতিটি ক্রিকেটারকে এমনভাবে পড়ে ফেলা যায়, যে অনেক সময় তাদের নিয়ে কাজ করার ব্যাপারটি খুব বড় হয়ে দেখা দেয় না। তিনি অবশেষে স্বীকার করলেন, আসলেই কাজে লেগেছে বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা। তবে তিনি সব সময়ই চান, বাংলাদেশ যেন ভালো করে।

ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। মিরপুর টেস্টের পরে কজন সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর হাথুরু আরও অকপট হলেন সিলেটে, ‘সত্যি বলতে কি, ঠিক, এটা কাজে দিয়েছে (বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জানাশোনা)। কিছু খেলোয়াড়ের জন্য আমাদের নির্দিষ্ট কিছু কৌশল ছিল। আমরা জানতাম চাপের মধ্যে তারা কেমন খেলে। প্রথম দুই ম্যাচে তারা দুর্দান্ত ছিল, সেটি আমার কাছে প্রত্যাশিতই ছিল। যদি তারা শুরুতে না জিতত, আমি হতাশই হতাম! আমার কোনো পিছুটান নেই। তাদের কোচ হয়ে খুশি। যেভাবে আমরা (শ্রীলঙ্কা) ঘুরে দাঁড়িয়েছি, তাতে আরও খুশি। ব্যক্তিগতভাবে খুব তৃপ্তিদায়ক একটা সফর গেল। যখন এখান থেকে চলে যাব, চাইব বাংলাদেশ ভালো করুক। তারা কীভাবে সামনে এগোয়, সব সময়ই খেয়াল করব।’
শুরুটা দুর্দান্ত হলেও বাংলাদেশ পরে যেভাবে হোঁচট খেল, যেটি থেকে এখনো বের হতে পারেনি, এটি কতটা অবাক করেছে হাথুরুকে? ‘আমার মনে হয় না তারা আতঙ্কিত। ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা তারা খুব ভালো করেছিল। দুই দলকেই (সফরকারী) তারা চাপে রেখেছিল। তবে টানা হারের পর তারা নিজেদের ওপরই আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আমি অবাক হয়েছি, তারা কীভাবে এত দ্রুত ভেঙে পড়ল।’
হাথুরু আরও অবাক হয়েছেন সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পা রেখে। বাংলাদেশের এই একটি আন্তর্জাতিক ভেন্যু সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তাঁর। কোচ হিসেবে বাংলাদেশে সাড়ে তিন বছর থাকার সময়ে কেন একবারও দৃষ্টিনন্দন এ মাঠে পা রাখেননি, সেটি ভেবে বিস্ময়ের শেষ নেই শ্রীলঙ্কান কোচের, ‘উইকেট এখনো শতভাগ তৈরি হয়নি। কাল দেখতে হবে উইকেট কেমন হয়। খুবই সুন্দর মাঠ। ভেবে অবাক হচ্ছি, সাড়ে তিন বছর এ দেশে থেকেও কেন একবারের জন্যও এ মাঠে আসা হয়নি।’
ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে, জিতেছে টেস্ট সিরিজও। বাকি শুধু টি-টোয়েন্টি। সিরিজের প্রথম জিতে সে কাজটাও অর্ধেক সেরে রেখেছে হাথুরুর শ্রীলঙ্কা। কাল প্রকৃতির মায়ায় ঘেরা সিলেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচটাও জয় দিয়েই শেষ করতে চান হাথুরু, ‘আমরা কোনো ম্যাচ হারের জন্য খেলি না। এখানে আমরা জিততেই এসেছি। জয় দিয়ে শেষ করা হবে ভীষণ প্রেরণাদায়ক।’
শ্রীলঙ্কার কাছে যেটি প্রেরণার, বাংলাদেশের কাছে সেটিই যে যাতনার!