ঘরের ক্রিকেটেই স্বচ্ছন্দ এনামুল

প্রিমিয়ার লিগে নেমেই ভালো খেলছেন এনামুল হক।
প্রিমিয়ার লিগে নেমেই ভালো খেলছেন এনামুল হক।
>
  • এনামুলের ব্যাট হাসছে প্রিমিয়ার লিগে
  • আজ রূপগঞ্জের বিপক্ষে করেছেন ৭৭
  • ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ স্বচ্ছন্দ এনামুল
  • আজ জয় পেয়েছে আবাহনী, প্রাইম দোলেশ্বর ও কলাবাগান
  • গাজীর ইমরুল কায়েস করেছেন ৭৪

জাতীয় দলে তাঁকে ফেরানো হয়েছিল ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স বিচার করেই। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্সে ভরসা জাগল না মোটেও। ত্রিদেশীয় ক্রিকেটে চারটি ম্যাচ খেলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না একটিতেও। অথচ জাতীয় দলের বাইরে গিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতেই তাঁর ব্যাটে আবার রানের ফল্লুধরা।

প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দিনই খেলাঘরের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ব্রাদার্স ও কলাবাগানের বিপক্ষে মাঝখানের দুটি ম্যাচে ব্যাট নিষ্প্রভ থাকলেও আজ আবার জ্বলে উঠলেন। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে করেছেন ৭৭। তাঁর দল আবাহনীও জয় পেয়েছে ৫ উইকেটে।

আজ তাঁর ৭৭ রান এসেছে ৮৯ বলে। ৬টি চার ও ২টি ছয়ে। প্রথমে ব্যাট করে রূপগঞ্জের গড়া ৮ উইকেটে ২৪৭ রানের জবাবে আবাহনী ২ ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেটে ২৫৩ করে জয় তুলে নেয়। এনামুলের ৭৭ রানের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান খেলেছেন ৭৮ রানের ইনিংস। অধিনায়ক নাসির হোসেন করেছেন ৩৪। নাজমুল হোসেনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫। এ ছাড়া মোসাদ্দেকের ১৪ আর মেহেদী মিরাজের ২১ রানে জয় নিশ্চিত হয় আবাহনীর। রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন ওপেনার আবদুল মজিদ। ১১৪ বলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো মজিদের ইনিংসের পর সর্বোচ্চ ৩৩ এসেছে পারভেজ রসুলের ব্যাট থেকে। বল হাতে আবাহনীর তাসকিন ৬১ রানে ৩টি আর মিরাজ ২৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।

ফতুল্লা স্টেডিয়ামে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ৫ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপকে। প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩২ রান তুলেছিল কলাবাগান। জবাবে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ইনিংস শেষ হয় ১৭৭ রানেই। কলাবাগানের আকবর-ই-রেহমান করেন ৮০। ফিফটি আসে (৫০) তাইবুর রহমানের ব্যাট থেকে। গাজী ক্রিকেটার্সের পক্ষে ইমরুল কায়েসের ৭৪ ছাড়া বড় কোনো সংগ্রহ নেই। ইমরুল ৭৮ বলে খেলা তাঁর এই ইনিংসে মেরেছেন ৫টি করে চার ও ছয়। কলাবাগানের আকবর-ই-রেহমান ৪টি উইকেট পেয়েছেন। এ ছাড়া সঞ্জিত সাহা ও মাহমুদুল হাসান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। প্রথমে ব্যাট করে ব্রাদার্স গুটিয়ে যায় ২১৪ রানে। ওপেনার মিজানুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭১। এ ছাড়া ইয়াসির আলী করেন ৪৪ ও মাইশুকুর রহমান ২৮। প্রাইমের পক্ষে হল্যান্ডের ক্রিকেটার রায়ান টেন ডাসকেট ৩৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া ফজলে মাহমুদও নিয়েছেন ৩ উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইমতিয়াজ হোসেন, লিটন দাস, ফজলে মাহমুদ আর মার্শাল আইয়ুবের ব্যাটে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রাইম দোলেশ্বর। ফজলে মাহমুদ করেন সর্বোচ্চ ৭৩ রান। এ ছাড়া লিটন ও আইয়ুব ৪৩ করে আর ইমতিয়াজ করেন ৩৯। ব্রাদার্সের অলক কাপালি ৪৭ রানে ৩ উইকেট নিলেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি।