জয় দিয়েই নিজেদের রেকর্ড ছুঁল বার্সেলোনা

দলের জয় নিশ্চিত করা গোলের পর আলবা। ছবি: রয়টার্স
দলের জয় নিশ্চিত করা গোলের পর আলবা। ছবি: রয়টার্স
>
  • লিগে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত বার্সেলোনা।
  • ২০১০/১১ মৌসুমে লিগে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত ছিল গার্দিওলার দলও।

ম্যাচটা বার্সেলোনার শুরু হয়েছিল এক রেকর্ডে চোখ রেখে। লা লিগায় টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ক্লাব রেকর্ড ছোঁয়ার ম্যাচ ছিল এটি। ড্র হলেই চলত মেসি-সুয়ারেজদের। তবে এইবারের মাঠ থেকে ২-০ ব্যবধানের জয়েই পেপ গার্দিওলার দলের সে রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলল আরনেস্তো ভালভার্দের দল।

ম্যাচের শুরুটা স্বাগতিক দলের। স্টেডিয়ামভর্তি সমর্থকদের পেয়ে এইবার দুর্দান্ত শুরু করেছিল। কিন্তু গোলের ভালো সুযোগ বার্সাই পেয়েছে আগে। ৬ মিনিটে এইবার রক্ষণের ভুলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। গোলরক্ষককে কাটিয়ে এক দিকে সরেও এসেছিলেন। কিন্তু এরপরই বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেন। যখন ফিরে ফেলেন ততক্ষণে আর গোল করার উপায় ছিল না। সুয়ারেজের পাস থেকে গোল করার উপায় ছিল না জর্ডি আলবার।

১৬ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত এক পাস থেকে অবশ্য আর কোনো ভুল করেননি সুয়ারেজ। এবার গোলরক্ষককে কাটিয়ে ঠিকই বল জালে পাঠালেন সুয়ারেজ। এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। ৩৭ মিনিটে আরও একবার গোলরক্ষককে একা পেয়ে গেলেন সুয়ারেজ। এবারও গোলরক্ষককে কাটিয়ে এক দিকে সরে গেলেন। শট না নিয়ে আবারও পাস দেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু মেসির শট ক্রসবারে লিগে ফিরল। এ মৌসুমে ১৬বারের মতো গোল পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়াল মেসির সামনে! প্রথমার্ধে গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে থাকলেও মাঠের লড়াইয়ে ছেড়ে কথা বলেনি এইবার।

দ্বিতীয়ার্ধেও সমানে সমান লড়েছে এইবার। কিন্তু ৬৬ মিনিটে ওরিয়ানো লাল কার্ড দেখায় ১০জনের দলে পরিণত হওয়ায় আর দমে কুলাতে পারেনি বার্সেলোনার সঙ্গে। বার্সার একের পর এক আক্রমণের ফল এসেছে ৮৮ মিনিটে। কুতিনহোর দারুণ এক ক্রস থেকে ভিদাল বক্সে বল বাড়ান। সেখান থেকে মেসির শট এইবার গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলেও, ফিরতি বল থেকে আলবার শট ঠেকানো যায়নি।