দেশেই এ অবস্থা, শ্রীলঙ্কায় মাহমুদউল্লাহদের কী হবে?

>
যা একটু লড়াই দেখা গেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে, কিন্তু সেটিও বড় পরাজয় ঠেকাতে পারেনি। ছবি: প্রথম আলো
যা একটু লড়াই দেখা গেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে, কিন্তু সেটিও বড় পরাজয় ঠেকাতে পারেনি। ছবি: প্রথম আলো
• ২১১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ হেরেছে ৭৫ রানে।
• ত্রিদেশীয় সিরিজ, টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও হেরেছে বাংলাদেশ।
• অনেক দিন পর দেশের মাঠে ছন্নছাড়া এক বাংলাদেশকে দেখা গেল।
• দেশের মাটিতেই ত্রাহি অবস্থা, আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই দলটার কী হবে?

দেশের মাঠে বাংলাদেশ দুর্দান্ত দল—এ কথা এখন আর বলা যাচ্ছে না! টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রতিটি সিরিজেই অসহায় আত্মসমর্পণের পর ‘বাংলাদেশ বদলে যাওয়া দল’ কথাটাও বড় হাস্যকর শোনাচ্ছে! কিন্তু এখানেই খেলা শেষ নয়, মার্চে আরও কঠিন পরীক্ষা—শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফি। দেশের মাঠেই এ অবস্থা, শ্রীলঙ্কায় কী যে হবে!

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাহমুদউল্লাহ শুধু এতটুকুই বলতে পারলেন, ‘নিদাহাস ট্রফির আগে আমাদের বসতে হবে। উপায় বের করতে হবে কীভাবে ১৮০-১৯০ তাড়া করা যায়। টি-টোয়েন্টিতে এ রান তাড়া করার মানসিকতা থাকতে হবে। আমাদের বোলাররা কীভাবে রান আটকাতে পারে, সেটাও চিন্তা করতে হবে।’
মিরপুরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৯৩ করেছিল বাংলাদেশ। আজ সিলেটে শিশির-তত্ত্ব তো ছিলই, ন্যাড়া উইকেটে বড় রান তাড়া করা সম্ভব ভেবেই কিনা আজ মাহমুদউল্লাহ টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিং করাতে পাঠালেন। বাংলাদেশ অধিনায়কের আমন্ত্রণে রানের পাহাড় গড়ে ফেললেন শ্রীলঙ্কানরা। কিন্তু বাংলাদেশও তো মোক্ষম জবাব দিতে পারত।
কেন পারেনি, সেই ব্যাখ্যায় মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘বড় স্কোর করার মতো উইকেট ছিল। ভেবেছিলাম আমরা তাড়া করতে পারব। তাড়া করতে হলে ভালো একটা শুরুর দরকার ছিল। কিন্তু আমরা ধারাবাহিক উইকেট হারিয়েছি। কোনো ছন্দই খুঁজে পাইনি। যখন শিশির নেমেছে, ব্যাটিংয়ের জন্য সেটা আরও ভালো ছিল। স্পিনারদের জন্য তেমন কিছু ছিল না। যদি ওদের ১৮০ রানের মধ্যে আটকাতে পারতাম, হয়তো তাড়া করতে পারতাম।’
কী হতো আর কী হতো না, তা ভেবে আর কী হবে! বাংলাদেশ দলটা যেন এখন সিডর-কবলিত এলোমেলো এক পরিবার! নিদাহাস ট্রফির আগে গুছিয়ে না উঠতে পারলে এ পরিবারের জন্য আরও বড় ‘দুর্ভোগ’ আছে সামনে!