দল থেকে বাদ পড়ে আত্মহত্যা ক্রিকেটারের!

মোহাম্মদ জারাইবের এ ছবি তাঁর পরিবারের কাছে এখন শুধুই স্মৃতি। ছবি: ফেসবুক
মোহাম্মদ জারাইবের এ ছবি তাঁর পরিবারের কাছে এখন শুধুই স্মৃতি। ছবি: ফেসবুক

• আত্মহত্যা করেছেন পাকিস্তানের তরুণ ক্রিকেটার মোহাম্মদ জারাইব।
• তিনি সাবেক ক্রিকেটার আমির হানিফের বড় ছেলে।
• আমির হানিফ পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন।
• বাংলাদেশের ক্লাব ক্রিকেটেও খেলেছেন আমির হানিফ।
• করাচির অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে বাদ পড়েই আত্মহনন জারাইবের।

মোহাম্মদ জারাইব ব্যাপারটা নিতে পারেননি। করাচির অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে বাদ পড়ে অভিমানের মাত্রা এতটাই ছিল যে নিজের জীবন দিয়ে যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলেন। জারাইব পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আমির হানিফের ছেলে। হানিফ নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানের হয়ে পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছেন। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেটেও একসময় ছিলেন নিয়মিত মুখ।

ছেলে জারাইবও হেঁটেছিলেন বাবার পথেই। সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে তৈরি করছিলেন। কিন্তু দল থেকে বাদ পড়ার হতাশায় ডুবে অভিমানী জারাইব নিজেই সেই সম্ভাবনার ইতি টানলেন।

লাহোরে গত মাসেও অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে করাচির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন উদীয়মান এ ক্রিকেটার। কিন্তু ‘চোটের কারণ দেখিয়ে’ তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জারাইব এটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। নিজেকে মনে করেছেন অবিচারের শিকার। সোমবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জারাইব।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, টিম ম্যানেজমেন্টকে জারাইব নিজেই জানিয়েছিলেন, তাঁর চোট এমন গুরুতর কিছু নয় যে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি। এদিকে জিও টিভিকে তাঁর বাবা হানিফ জানিয়েছেন, চোটটা ছিল আসলে অজুহাত। ভেতরকার বিষয় হলো বেশি বয়সের কারণে তাঁকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য যোগ্য মনে করা হয়নি। এ কারণে চোটের অজুহাতে তাঁকে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়।

বর্তমান ক্রিকেটে প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশি—হানিফ ছেলের মৃত্যুর জন্য এই প্রত্যাশার চাপকেই দায়ী করেছেন। নিজে ক্রিকেটার ছিলেন বলেই ব্যাপারটি নিয়ে ছেলেকে অনেক বুঝিয়েছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, ‘আমার ছেলে যা করেছে কিংবা যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে, প্রার্থনা করি আর কোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে যেন তা না ঘটে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় সেটা ভীষণ চাপে ছিল। বাদ পড়ায় প্রচণ্ড হতাশ ছিল। তাকে উদ্দীপ্ত করা চেষ্টা করেছি, কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সে যে অবিচারের শিকার হয়েছে, তার প্রতিদানে যেটা ভালো মনে হয়েছে সেটাই করেছে।’