কেনিয়ার ক্রিকেটে গণপদত্যাগ

আফগানিস্তান তো দূরে থাক এখন থেকে ক্রিকেটের দ্বিতীয় স্তরেও খেলা হবে না কেনিয়ার। ছবি: আইসিসি
আফগানিস্তান তো দূরে থাক এখন থেকে ক্রিকেটের দ্বিতীয় স্তরেও খেলা হবে না কেনিয়ার। ছবি: আইসিসি

এই তো গত বছর ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সাফল্য ধরা দিয়েছে বাংলাদেশের কাছে। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে এই প্রথম সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। অথচ সে কীর্তি ২০০৩ সালেই ধরা হয়ে গেছে কেনিয়ার। সে সুখস্মৃতিটা অবশ্য ভুলেই গেছে হয়তো দেশটি। ক্রিকেটের তৃতীয় স্তরে যে ঠাঁই হয়েছে দেশটির। এমন ব্যর্থতার দায় নিয়ে দেশটির ক্রিকেটের শীর্ষ তিন ব্যক্তি পদত্যাগ করলেন আজ!

২০০৩ বিশ্বকাপে সবাইকে স্তব্ধ করে সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছিল স্টিভ টিকোলো ও টমাস ওদোয়াদের কেনিয়া। সে গৌরবের অংশ হওয়া ওদোয়া লজ্জারও অংশ হলেন। ২০১৪ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস হারানো দলটি এত দিন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলছিল। কদিন আগেই নামিবিয়ায় হয়ে গেল ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরের খেলা। ছয় দলের মধ্যে ষষ্ঠ হয়ে কেনিয়াকে নেমে যেতে হয়েছে তৃতীয় স্তরে।
এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে আজ পদত্যাগ করেছেন কেনিয়া ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রাকেপ প্যাটেল, কোচ ওদোয়ো ও বোর্ড প্রেসিডেন্ট জ্যাকি জানমোহাম্মদ। ওদোয়া এ অভিজ্ঞতাকে বর্ণনা করেছেন নিখুঁতভাবে, ‘নামিবিয়াতে কাটানো এক সপ্তাহ ছিল মানসিকভাবে যন্ত্রণাদায়ক। এটা ভয়ংকর চাপের ছিল। আমি যে অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছি, অন্য কারও এমন অভিজ্ঞতা হোক, সেটা কখনোই চাইব না। আমরা বাজে পারফরম্যান্সের সব অতীত রেকর্ড ভেঙেছি।’
প্রথম নারী হিসেবে কোনো ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হয়েছিলেন জানমোহাম্মদ। কিন্তু ঐতিহাসিক সে ঘটনার শেষটা কলঙ্কিত হয়ে রইল, ‘জাতীয় দলের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া। কারও না কারও তো এর দায় নিতে হবে!’