ফাস্ট বোলিং কী - তাসকিনদের শেখাচ্ছেন ওয়ালশ

>
বিশেষ ক্লাসে কাজ হবে তো? ফাইল ছবি
বিশেষ ক্লাসে কাজ হবে তো? ফাইল ছবি
• ১৪ পেসার নিয়ে অনুশীলন শুরু আজ।
• বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের অধীনে বিশেষ অনুশীলন চলবে ৩ মার্চ পর্যন্ত।

নিদাহাস ট্রফির আগে বিশেষ ক্যাম্প শুরু হয়ে গেল আজ। ১৪ পেসার ও ৫ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে বিসিবি একাডেমি মাঠে বিশেষ এই অনুশীলনে দৃষ্টি অবশ্য পেসারদের দিকেই ছিল সবার। কিছুদিন ধরেই যে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ হাসি ফোটাতে পারছে না। পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও কাজ শুরু করে দিয়েছেন। পেসারদের ধারাবাহিকতা বাড়ানোতে মনোযোগ ওয়ালশের।

ওয়ালশের ক্লাসে পেসারদের যে গতি বাড়ানো কিংবা বাউন্সার দেওয়ার শেখানো হচ্ছে, তা কিন্তু না। বরং পেসারদের বলা হচ্ছে যার যা দক্ষতা সে অনুযায়ী কাজ করতে। এ ব্যাপারে কোচ জানালেন সবকিছু সহজ-স্বাভাবিক রাখাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য, ‘বোলারদের মানসিক দিক নিয়ে কাজ করা হচ্ছে ক্যাম্পে। ওরা নিজেদের ক্ষমতা জানে এবং স্বাভাবিকভাবে যা হয়, সেটাই করছে। আমার মতে, শেষ সিরিজে এটাই করতে পারেনি। পেসাররা একটু বেশিই বাড়তি কিছু করতে চেয়েছে। ওদের জানতে হবে কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে এবং কীভাবে করতে হবে। যদি ধারাবাহিকতা আনতে পারে, তবে ১০ বারের মধ্যে আটবারই ফল নিজেদের পক্ষে আসবে। আমরা চেষ্টা করছি ওদের ধারাবাহিক বানাতে এবং শান্ত থেকে কোনো কিছু করা শেখাতে।’
এ ধারাবাহিকতার অভাবই বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তবু পেসাররা কিছু উইকেট পেয়েছিলেন, টেস্টে যে এক মোস্তাফিজ ছাড়া অন্য কাউকে দলে রাখারই সাহস করেনি ম্যানেজমেন্ট! ওয়ানডে সিরিজে অবশ্য প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ভালো পারফরম্যান্স ছিল পেসারদের। তবে মাশরাফি কিংবা মোস্তাফিজদের নিয়ে তো কখনোই প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু ভরসা রাখার মতো তৃতীয় পেসার যে পাওয়া যাচ্ছে না। ওয়ালশ বলছেন, বিশেষ এ ক্লাস সে কারণেই নেওয়া, ‘ধারাবাহিকতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। গত কিছুদিন যতটা উচিত ছিল, তেমন বল করতে পারেনি। এ ক্যাম্পে সেখানেই দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে। সামনে কার কী ভূমিকা থাকবে, এটা বুঝতে হবে ওদের। এ ক্যাম্পে ফাস্ট বোলিং কী, সেটাও শেখানো হচ্ছে। এর জন্য কত কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, সেটা জানানো হচ্ছে।’