বার্সা ১৪৫ মিলিয়ন ইউরো কি জলে ঢালল?

বার্সার অনুশীলনে ঝালিয়ে নিচ্ছেন ডেমবেলে। তাঁর এখন দলে জায়গা নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জ। ছবি: টুইটার
বার্সার অনুশীলনে ঝালিয়ে নিচ্ছেন ডেমবেলে। তাঁর এখন দলে জায়গা নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জ। ছবি: টুইটার
• ডেমবেলেকে কিনে বার্সা কি টাকাটা জলে ঢালল?
• বার্সার হয়ে এ মৌসুমে মাত্র ৯ ম্যাচ খেলেছেন ডেমবেলে।
• গোল নেই, ‘অ্যাসিস্ট’ মাত্র একটি।

নেইমারের প্রস্থানে সবাই যখন হোসে মারিয়া বার্তোমেউয়ের পদত্যাগের দাবিতে মুখর, ঠিক তখনই ১৪৫ মিলিয়ন ইউরো খরচায় ওউসমানে ডেমবেলেকে নু ক্যাম্পে এনেছিলেন বার্সেলোনা সভাপতি। সবাই ভেবেছিল, এবার বুঝি নেইমারের অভাব পূরণ হবে! কিন্তু ছয় মাস কেটে যাওয়ার পর দলে ডেমবেলের অবস্থান দেখে প্রশ্ন জাগতেই পারে, বার্সা ১৪৫ মিলিয়ন ইউরো কি জলে ঢালল?

চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সার শেষ ম্যাচে ডেমবেলেকে ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছেন কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে। কিন্তু বিশ্লেষকেরা ভেবেছিলেন, ফিলিপ কুতিনহোর অনুপস্থিতিতে ভালভার্দের একাদশে থাকবেন ডেমবেলে। সে আশায় গুড়েবালি ছিটিয়ে একাদশ তো নয়ই, বেঞ্চ থেকেও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি ‘১৪৫ মিলিয়ন ইউরো’ ম্যানের। ভালভার্দে তাঁকে কেন সুযোগ দিলেন না, এ প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও তা এড়িয়ে গেছেন দারুণ চতুরতার সঙ্গে।
ডেমবেলে বার্সেলোনায় আসা নিয়ে নাটক কম হয়নি। শুধু নু ক্যাম্পে আসতে ডর্টমুন্ডের ট্রেনিং সেশন ত্যাগ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত আসতে পারলেও মাঠে নামতে না নামতেই ইনুজরি! পেশিতে টান লাগায় মাঠের বাইরে ছিলেন পাঁচ মাসের মতো। এর মধ্যে বার্সায় অনেক জল গড়িয়েছে। ডেমবেলে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে দেখলেন বার্সায় আরেকজন ‘নতুন’—ফিলিপ কুতিনহো! দলে জায়গা নিশ্চিত থাকে কীভাবে?
বার্সার হয়ে এ মৌসুমে ৯ ম্যাচ খেলেছেন ডেমবেলে। এর মধ্যে বেঞ্চি গরম করে মাঠে নেমেছেন ছয়বার, আর তিনবার প্রথম একাদশের হয়ে। গোল নেই, ‘অ্যাসিস্ট’ মাত্র একটি। আসলে ভালভার্দের ট্যাকটিসের সঙ্গে কুতিনহো যত দ্রুত মানিয়ে নিতে পেরেছেন, ডেমবেলে তা পারছেন না। কিংবা ডেমবেলেকে নিজের কৌশলে ব্যবহারের পথটা এখনো বের করতে পারেননি ভালভার্দে।
কিন্তু পথ বের হবেই। সে জন্য সময়ও আছে পর্যাপ্ত। ডেমবেলের বয়সটা যে কেবল বিশের কোঠায়। শুধু খেলোয়াড়টির নিজের একটু তাগিদ থাকতে হবে আর কোচের যত্ন। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ডেমবেলে ফিটনেসের বাজে অবস্থার জন্য তাঁকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে ভালভার্দের। বার্সার এই ১৪৫ মিলিয়ন ইউরোর ‘প্রজেক্ট’ কতদূর গড়ায় নাকি টাকাটা জলে ভেসে যায়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।