জুনায়েদের হ্যাটট্রিকে ম্লান মোস্তাফিজের অভিষেক

হ্যাটট্রিক করে সুলতানসের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন জুনায়েদ। ছবি: টুইটার
হ্যাটট্রিক করে সুলতানসের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন জুনায়েদ। ছবি: টুইটার

• পিএসএল অভিষেকেই মোস্তাফিজের ২ উইকেট।
• কিন্তু জিততে পারেনি মোস্তাফিজের দল কালান্দার্স।
• মুলতান সুলতানসের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন জুনায়েদ খান।

মোস্তাফিজুর রহমানের গত বছর তেমন একটা ভালো কাটেনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভালো করতে পারেননি। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) দিয়ে কি তাহলে ফিরলেন সেই পুরোনো ‘ফিজ’?


মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে কাল আসরটিতে অভিষেকেই তাঁর শিকার ২২ রানে ২ উইকেট। ‘ডট’ বল ছিল ১৪টি। লাহোর কালান্দার্সের ৬ বোলারের মধ্যে মোস্তাফিজই সবচেয়ে কম রানে বেশি উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু কালান্দার্স জিততে পারেনি। মোস্তাফিজের অভিষেক মাটি করেছেন সুলতানদের পেসার জুনায়েদ খান।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেট ১৭৯ রান তুলেছিল সুলতানস। জবাবে ১৭.২ ওভারেই ১৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে মোস্তাফিজের কালান্দার্স। এর মধ্যে তারা শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৪ রানে! সুলতানদের ৪৩ রানের এই জয়ের মূল কারিগর জুনায়েদ। পাকিস্তানের এ পেসার পিএসএলের ইতিহাসে তুলে নিয়েছেন দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক!

১৫তম ওভারের শেষ বলে ফখর জামান (৪৯) যখন আউট হন, সুলতানসের স্কোর ৪ উইকেটে ১৩২। এরপর কীভাবে যেন দলটির আশ্চর্য পতন ঘটল! আর মাত্র ৪ রান যোগ করতেই তারা হারিয়েছে বাকি ৬ উইকেট। ১৬তম ওভারে ইমরান তাহির তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। এরপর জুনায়েদ খান এসে ১৭তম ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফিরিয়েছেন যথাক্রমে ইয়াসির শাহ, ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও রাজা হাসানকে।

পিএসএলের ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিক মোহাম্মদ আমিরের। ২০১৬ সালে দুবাইয়ে আসরটির প্রথম সংস্করণে এই লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাকিস্তানের এ পেসার। এবার সেই দুবাইয়েই কালান্দার্সের কাছ থেকে আরও একটি হ্যাটট্রিক ছিনিয়ে নিলেন জুনায়েদ।