বারবার আঙুলটাই দেখছিলেন সাকিব

ব্যাথা পেয়ে ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব। ছবি - প্রথম অালো ফাইল ছবি।
ব্যাথা পেয়ে ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব। ছবি - প্রথম অালো ফাইল ছবি।
>
  • ২৭ জানুয়ারি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আঙুলে চোট পান সাকিব
  • থাইল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন
  • চোটের পর গতকালই প্রথম ব্যাট হাতে নেমেছিলেন
  • আজ ফিল্ডিং অনুশীলন করেছেন তিনি।

প্রথমে আঘাতপ্রাপ্ত আঙুলে যত্ন নিয়ে ইনজুরি টেপ লাগালেন সাকিব আল হাসান। এরপর দাঁড়িয়ে গেলেন ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদারের সামনে। কিছু ‘শট’ ক্যাচ নেওয়ার পরে ‘হাই’ ক্যাচ অনুশীলন। বল তালুবন্দী করলেও সাকিব আল হাসানের চোখে-মুখে ছিল শঙ্কার ছাপ। প্রতিটি ক্যাচ ধরার পরে আঙুলটা আয়নার মতো করে চোখের সামনে নিয়ে পরখ করে নিচ্ছিলেন। বড় একটা ইনজুরির ধকল কাটিয়ে ওঠার পরে ভয় তো থাকবেই! আঘাত পাওয়া আঙুলটায় আবার যদি এসে লাগে! একটু পরপর তাই দেখে নিচ্ছিলেন, সব ঠিকঠাক আছে তো!

ইনজুরি থেকে এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি সাকিব। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে গতকাল থেকে অনুশীলন শুরু করেছেন বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। প্রথম দিন ব্যাট হাতে তুলে নেওয়ার পর আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে করেছেন ফিল্ডিং অনুশীলন। এরপর কিছুটা সময় কাটিয়েছেন জিমে। ইনজুরি কাটিয়ে উঠে ধীরে ধীরে মাঠে ফেরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীর ভাষ্যমতে, সুস্থ হতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। এরপর তো থেকেই যাচ্ছে ম্যাচ ফিটনেসের জন্য অপেক্ষা।
গত ২৭ জানুয়ারি ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে আঙুলে চোট পান সাকিব। বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের গোড়ালি মচকে যায়। ফেটে যায় আঙুলের বেশ কিছুটা অংশ। চোট এতই গুরুতর হয়ে যায় যে প্রথমে ডাক্তার দেখাতে থাইল্যান্ডে যান। থাইল্যান্ড পর্ব শেষ করে ঢাকায় ফিরে আবারও অস্ট্রেলিয়ায় যেতে হয়।
সেখানে দেখিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গ্রেগ হয়কে। বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক শুধু একটি ইনজেকশন দিয়েই বলে দিয়েছেন নতুন করে অস্ত্রোপচার করা লাগছে না। এই সুখবরটা নিয়ে তিন দিন আগে ঢাকায় ফিরে ইতিমধ্যে অনুশীলনেও নেমে গিয়েছেন সাকিব।