দলকে বিপদে রেখে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ

দারুণ বল করেছেন রুবেল। ছবি: শামসুল হক
দারুণ বল করেছেন রুবেল। ছবি: শামসুল হক
>
  • ৩ উইকেটে ১৭৬ রান ভারতের।
  • ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট রুবেলের।
  • বাংলাদেশের অন্য কোনো বোলার উইকেট পাননি।

যাক, ৩৮ রান তো কম করেছে ভারত!
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১৪ তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। এমন ঘটনা স্মৃতিতে অম্লান থাকে বছরের পর বছর। আর এ তো মাত্র আগের ম্যাচ। তাই কোনো লক্ষ্য আর বড় ঠেকে না এখন। এই প্রথম প্রতিপক্ষ দুই শ ছোঁয়ার কাছাকাছি যাওয়ার পরও পরিসংখ্যান নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়নি। ভেবে দেখতে হয়নি, রান তাড়া করে সর্বোচ্চ কত রান করে জিতেছিল বাংলাদেশ। উত্তরটা তো জানাই, বাংলাদেশ ২১৫ রান করেও জেতে! ভারতের স্কোর তাড়া করতে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৬১। মাত্র ১১ রান করে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। 

এত আত্মবিশ্বাসী হয়েও বাংলাদেশ নিশ্চয় জানে, প্রতিদিন ২০০ নয় দেড় শ তাড়া করাও কঠিন। আজ বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরুটাও ছিল আশা জাগানো। চমক জাগানোও। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই বাংলাদেশের পুরো বোলিং আক্রমণের চেহারা দেখা হয়ে গেল। ইনিংসের প্রথম ৫ ওভারে পাঁচ বোলারের হাতে বল তুলে দেওয়ার নজির ক্রিকেটের কোনো সংস্করণে এর আগে কখনো দেখা গেছে কি না মাথা চুলকে-টুলকেও মনে করা যাচ্ছিল না!
এমন অদ্ভুতরে ঘটনার পরও ভারতের রানটা ঠিক সুবিধা হয়নি। পাওয়ার প্লের মধ্যে কোনো উইকেট না হারিয়ে পঞ্চাশ ছুঁতে পারেনি ভারত। প্রথম ১০ ওভারে শিখর ধাওয়ানকে হারিয়ে ৭১ রান করেছিল ভারত। সেটা ১২ ওভার শেষেও ৮৪ রান। রোহিত শর্মার ফিফটি ছুঁতে ছুঁতে তাই ১৩তম ওভার লেগে গেল। ফর্ম খুঁজতে থাকা এই ওপেনার দলের ভার সামলে ফিফটি পেয়েছেন ৪২ বলে। ফিফটি ছুঁতে ৩ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন রোহিত।
সেই রোহিত পরের ১৮ বলে তুলেছেন ৩৯ রান। এবার চার-ছক্কার দান উল্টে গেল। ২ চার ও ৩ ছক্কায় এক পর্যায় তো সেঞ্চুরিই করে ফেলবেন বলে মনে হচ্ছিল। অন্য প্রান্তে সুরেশ রায়নাও ৩০ বলে ৪৭ রান তুলে রানটাকে এমন পেল্লায় চেহারা দিয়েছেন। শেষ ওভারে রুবেল হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংটা রায়নার ফিফটি আর রোহিতের সেঞ্চুরি হতে দিল না। শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে রুবেল।