মেসির কি এটাই শেষ বিশ্বকাপ?

রাশিয়াতেই হয়তো শেষবারের মতো আর্জেন্টিনার জার্সিতে দেখা যাবে মেসিকে। ছবি: এএফপি
রাশিয়াতেই হয়তো শেষবারের মতো আর্জেন্টিনার জার্সিতে দেখা যাবে মেসিকে। ছবি: এএফপি

ফুটবলের কাছে মেসির একটি বিশ্বকাপ পাওনা আছে। হোর্হে সাম্পাওলির এমন কথায় সায় আছে অনেকেরই। মেসি নিজেও এ কথার জবাবে মজা করে বলেছিলেন, আশা করি, ফুটবল তার দায় মেটাবে। এ তো গেল হাস্যরসিকতা। কিন্তু মেসি একটি বিশ্বকাপ জিতুক, কিংবদন্তিদের কাতারে তর্কাতীতভাবে জায়গা করে নিক—এমন আকাঙ্ক্ষা কম লোকের নয়। মানুষের এমন ভালোবাসায় মুগ্ধ মেসি।

ফুটবল বিশ্বকাপের আবহ চলে এসেছে। এ সপ্তাহেই যেমন প্রীতি ম্যাচের আদলে প্রস্তুতিতে নামছে বিভিন্ন দল। স্পেন আর ইতালির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ উপলক্ষে টেলিভিশন অনুষ্ঠান লা করনিসায় কথা বলেছেন মেসি। সেখানেই শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানিয়েছেন মেসি, ‘বিশ্বকাপটা যেন আমার ভালো যায়, আমি যেন এটা জিতি—এমন আকাঙ্ক্ষা দেখতে পাচ্ছি সবখানে। সত্যি কথা, বিশ্বের নানা প্রান্তেই আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিততে দেখতে চান অনেকে। তাঁরা চান, বিশ্বকাপটা আমাকে দেওয়া হোক, এমন আকাঙ্ক্ষা আসলেই দারুণ।’
এমন আশাবাদী কথাবার্তার মধ্যেই হতাশা ঢুকে পড়েছে। টানা তিনটি ফাইনালে হেরেছে আর্জেন্টিনা। দুই যুগের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতছে না দলটি। ২০১৬ সালে কোপার ফাইনালে হারার পর তো অবসরেই চলে গিয়েছিলেন মেসি। অনেকেই ধারণা করছে, ২০১৮ সালেও যদি শিরোপা জিততে ব্যর্থ হন, তবে এবার পাকাপাকি সিদ্ধান্তই নেবেন মেসি।
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক স্বীকার করলেন, এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কাগজে-কলমে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার সুযোগ থাকলেও সমালোচকেরাই হয়তো অবসরের দিকে ঠেলে দেবেন পুরো আর্জেন্টাইন স্কোয়াডকে, ‘চারপাশে এমন একটা আওয়াজ উঠেছে, এ দলটা শেষবারের মতো একসঙ্গে খেলবে। তিনটি ফাইনালে ওঠার পরও সেটা উল্টো ফল দিয়েছে। অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফলের ওপরই সবাই নির্ভর করে। আমরা তিনটি ফাইনালে উঠেছি কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটিও জিততে পারিনি। আমাদের নিয়ে অনেক কিছুই বলা হয়েছে। আমরা যে কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারব, এটা তারা চিন্তাই করতে পারে না। তাঁদের ধারণা, আমরা আরেকটা সুযোগ পাব না। তা-ই যদি হয় (বিশ্বকাপ না জিতলে), তাঁরা হয়তো পুরো দলকেই জাতীয় দল থেকে সরে যেতে বলবেন।’