আশরাফুল উড়ছেন

• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় সেঞ্চুরি পেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
• কলাবাগানের আশরাফুল আজ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মোহামেডানের বিপক্ষে।
• এর আগে অগ্রণী ব্যাংক ও রূপগঞ্জের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন।
• তাঁর ১২৭ রানের ওপর ভর করেই কলাবাগান ৫০ ওভারে করেছে ২৬০।

প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় সেঞ্চুরি পেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ফাইল ছবি
প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় সেঞ্চুরি পেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ফাইল ছবি

দারুণ ফর্মে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রীতিমতো উড়ছেনই। আজ বিকেএসপিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মৌসুমের তৃতীয় সেঞ্চুরিটা তুলে নিলেন। মোহামেডানের বিপক্ষে তাঁর ১২৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করেই ৫০ ওভারে ২৬০ রান করেছেন কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। জবাবে ৪ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় মোহামেডান। 

বড় অদ্ভুত কারণেই আজ খেলাটি শুরু হয়েছে দেরিতে। যানজটের কারণে ৩০ মিনিট দেরিতে মাঠে গড়ানো ম্যাচটিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে কলাবাগান। ২০ রানে মুনিম শাহরিয়ারের উইকেট হারানোর পর মাঠে নামেন আশরাফুল। ওপেনার ওয়ালিউল করিমকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন বড় সংগ্রহের ভিত। ১৬৪ মিনিটের ইনিংসে ১২৪ বল খেলে করেছেন ১২৭। বাউন্ডারি ছিল ১৩টি, ছক্কা ৩টি। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লু  হয়ে ফেরেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।

এবারের প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত আশরাফুল। ২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর এই প্রথম যেন ছন্দে ফিরেছেন। এর আগেও করেছেন দুটি সেঞ্চুরি। একটি অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে (১০২), অন্যটি প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে। ফিফটি পেয়েছেন একটি—রূপগঞ্জের বিপক্ষে।

মোহামেডানের বিপক্ষে আজ আশরাফুলের ইনিংসের ওপরই দাঁড়িয়ে কলাবাগানের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ এসেছে ওয়ালিউল করিমের ব্যাট থেকে। কিন্তু কলাবাগান শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। রনি তালুকদার ও মোহাম্মদ এনামুলের ফিফটির পর শেষ দিকে তাইজুল ইসলামের অপরাজিত ৩৪ রানে জয় তুলে নেয় মোহামেডান।

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। আগে ব্যাটিংয়ে নামা রূপগঞ্জ তুষার ইমরানের ৯৮ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ২০৪ রানের স্কোর দাঁড় করায়। জবাবে ১৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় অগ্রণী। দলটির অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিসের ব্যাট থেকে এসেছে ৮২ রানের ইনিংস। ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ধীমান ঘোষ।

শেখ জামালকে মাত্র ১৮৪ রানে গুটিয়ে দিয়েও জিততে পারেনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ফতুল্লায় অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পরেছিল শেখ জামাল। ওপেনার সৈকত আলীর ফিফটিতে ভর করে শেষ পর্যন্ত ১৮৪ রানে অল আউট হয় দলটি। জবাবে ইলিয়াস সানি ও সোহাগ গাজীর স্পিনে দাঁড়াতেই পারেনি ব্রাদার্স। মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। ৩টি করে উইকেট নেন ইলিয়াস সানি ও সোহাগ গাজী।