তামিম বনাম মাহমুদউল্লাহর ম্যাচে রোমাঞ্চ

রোমাঞ্চকর জয়ের পর জালমির খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি: এএফপি
রোমাঞ্চকর জয়ের পর জালমির খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি: এএফপি
>
  • কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে ১ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় এলিমিনেটরে পেশোয়ার জালমি।
  • আজ দ্বিতীয় এলিমিনেটরে করাচির মুখোমুখি হবে জালমি।

জয়ের জন্য শেষ বলে কোয়েটার গ্লাডিয়েটর্সের দরকার ৩ রান। ২ রান নিতে পারলে ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে। স্ট্রাইকে কোয়েটার আনোয়ার আলী। পেশোয়ার জালমির স্পিনার লিয়াম ডসনের ফুলটস ডেলিভারি আনোয়ার আলী ঠিকমতো ব্যাটে লাগাতে পারলে ছক্কা হতো। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলায় বল ফিল্ডারের হাতে। ভুল ভেবেছেন। জালমির উমাইদ আসিফ সহজ ক্যাচটা নিতে পারেননি!
তাই বলে কোয়েটাও ম্যাচটা জিততে পারেনি। শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রানআউট হন মীর হামজা। ১ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দ্বিতীয় এলিমিনেটরে পৌঁছে গেল তামিম ইকবালের জালমি। আজ দ্বিতীয় এলিমিনেটর ম্যাচে করাচি কিংসের মুখোমুখি হবে জালমি। অন্যদিকে, জিততে জিততেও এই হারে পিএসএল থেকে ছিটকে পড়ল মাহমুদউল্লাহর কোয়েটা। অথচ জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২৫ রানের লক্ষ্যটা কিন্তু তাঁরা প্রায় ছুয়ে ফেলেছিল!
রোমাঞ্চকর ম্যাচটা না দেখে থাকলে অবাক লাগাই স্বাভাবিক। পেশোয়ার জালমির ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে ১৯ ওভার শেষে কোয়েটার স্কোর ৮ উইকেটে ১৩৩। অর্থাৎ জয়ের জন্য শেষ ওভারেই চাই ২৫ রান। ডসনের সেই ওভারে প্রথম দুই বল থেকেই এসেছে ১০ রান! চার ও ছক্কা মারেন আনোয়ার আলী। পরের বল ‘ডট’ গেলেও চতুর্থ ও পঞ্চম বলে আনোয়ারের টানা দুই ছক্কা! শুধু শেষ বলেই ন্যূনতম ৩ রান নিতে পারলেন না!
কিন্তু পিএসএলে জালমি-কোয়েটা প্লে অফ ম্যাচ মানেই যে রোমাঞ্চের পসরা, সেটা কিন্তু বোঝা গেল। এই নিয়ে টানা তৃতীয় মৌসুম প্লে অফে জালমি-কোয়েটা ম্যাচের নিষ্পত্তি হলো ১ রানের জয়ে!
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ডসনের (৬২) ফিফটিতে লড়াকু স্কোর পেয়ে যায় জালমি। ২৯ বলে ২৭ রান করেন দলটির বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। জবাবে কোয়েটার শুরুটা ভালো হয়নি। ১৭ রানের মধ্যে বিদায় নেন দুই ওপেনার। মোহাম্মদ নওয়াজ (৩৫) ও সরফরাজ আহমেদ (৩৫) হাল ধরেন কোয়েটার। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ২০ বলে ১৯ রানের ইনিংস। এর আগে বল হাতে ২ ওভারে ২০ রানে ১ উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ।