আমরা বার্সেলোনা নই, খোঁচা মার্সেলোর

দেখে রেখো! কাল ম্যাচে মার্সেলো। ছবি: এএফপি
দেখে রেখো! কাল ম্যাচে মার্সেলো। ছবি: এএফপি

৬০ মিনিটে ৩ গোল হজম করে, আর একটা গোল খেলে ২ গোল করতে হবে—এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েও মার্সেলো বিশ্বাস হারাননি। কালকে ম্যাচের অধিনায়কের দৃঢ়বিশ্বাস ছিল রিয়াল মাদ্রিদ সেমিফাইনালে যাবেই। কারণ? দলটা তো আর বার্সেলোনা নয়!

কাল শেষ মিনিটের পেনাল্টিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের আরেকটি অবিশ্বাস্য রূপকথাকে অসমাপ্ত করে দিয়ে জুভেন্টাসকে কাঁদিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। অথচ আগের রাতে বার্সেলোনার বিপক্ষে রোমা যা খেলেছে, তার চেয়েও দুর্দান্ত খেলছিল জুভেন্টাস। পুরো ম্যাচে বার্সা সামান্য সময়ের জন্যও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। কিন্তু কাল রিয়াল, বিশেষ করে রিয়ালের মাঝমাঠ জুভেন্টাসকে ছেড়ে কথা বলেনি।

রোমার জন্য গোল করা যত সহজ হয়ে গিয়েছিল, জুভেন্টাসের জন্য কাল প্রতিটি গোল তৈরি করা ছিল তার চেয়েও বেশি কঠিন। তিন গোলে দুটি মাপা ক্রস থেকে তার চেয়েও নিখুঁত হেডিংয়ে। অন্য গোলটি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের ভুল ছিল বটে, কিন্তু সেই গোলটার আগে জুভেন্টাসের তৈরি করা চাপ ছিল দুর্দান্ত ফুটবলের ফসল।

৬০ মিনিটের মধ্যে জুভেন্টাস যখন রিয়ালের প্রথম লেগের অগ্রগামিতা শূন্য করে ফেলল, স্বাগতিকেরাই তখন চাপে। জুভেন্টাসের আর একটি গোল ইতালিয়ান ক্লাবকে প্রতিপক্ষের মাঠে গোল করার সুবিধা এনে দিত। তখন রিয়ালকে করতে হতো কমপক্ষে ২ গোল। পরপর দুই রাতে দুই স্প্যানিশ দৈত্য এমন অঘটনের শিকার হতে চলেছে কি না, ধারাভাষ্যে তখন সেই কম্পিত আলোচনা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু উপচে পড়া গ্যালারিতে রিয়াল সমর্থকদের মুখে ‘এটা কী হলো’র অবিশ্বাস।

তবে মার্সেলো দাবি করলেন, দলের ওপর থেকে তাঁর বিশ্বাস হারায়নি। তিনি জানতেন, রিয়াল থামবে না। রিয়ালের ব্রাজিলীয় ফুলব্যাক বলেছেন, ‘পরের রাউন্ডে যেতে আমাদের যা যা করার দরকার ছিল, আমরা তা করতাম। বার্সেলোনার সঙ্গে যা হয়েছে, তা আমাদের সঙ্গে হতো না। কারণ আমরা বার্সেলোনা নই, রিয়াল মাদ্রিদ।’

কিন্তু শেষ সময়ে ওই পেনাল্টিটা না হলে? ম্যাচ যদি অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে টাইব্রেকারে যেত? তখন কী হতো তা নিয়ে এখন আর আলোচনা করে লাভ নেই। তবে পেনাল্টি নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে, মার্সেলোর যুক্তি মানলে সেটি অর্থহীন। তিনি বলছেন, ‘এটা ছিল পরিষ্কার পেনাল্টি।’

সেমিফাইনালে রিয়ালের পাশাপাশি নাম লিখিয়েছে লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখ আর রোমা। আগামীকাল ড্রয়ে জানা যাবে কে মুখোমুখি হবে কার।