আসছে ব্রিটিশ কোচ?

দলটাকে গোছাতে না গোছাতেই বিদায় নিয়েছেন কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড। ফাইল ছবি
দলটাকে গোছাতে না গোছাতেই বিদায় নিয়েছেন কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড। ফাইল ছবি
>

নতুন কোচের ব্যাপারে একটু আভাস-ইঙ্গিত পাওয়া গেল সালাউদ্দিনের কথায়। জানালেন, একজন ব্রিটিশ কোচের সঙ্গে বাফুফের আলোচনা চলছে। সম্ভবত ওই ব্রিটিশ কোচই বাংলাদেশের নতুন করে হবেন। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের ডিফেন্ডার টেরি বুচারের জীবনবৃত্তান্তও ছিল বাফুফের হাতে। তবে তাঁকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

শুধু আয়োজক হওয়ার তৃপ্তির দিন শেষ। মাঠেও চাই ভালো ফল। ঘরের মাঠে সাফ টুর্নামেন্টে সেই ভালো ফলের খোঁজে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ২০০৩ সালে যা ধরা দিয়েছিল বাংলাদেশের হাতে। সেই প্রথমবার সাফ আয়োজন করেই চ্যাম্পিয়ন লাল-সবুজের দল। ২০০৯ সালের পর তৃতীয়বারের মতো সাফ হচ্ছে বাংলাদেশে।
গতকাল সাফের ড্র শেষে কথা ছিল সংবাদ সম্মেলন হবে। সেটি মূলত সাফ নিয়ে। তবে এই মঞ্চে অন্য দেশের প্রতিনিধিরা না থাকায় সংবাদ সম্মেলনটি হয়ে গেল শুধুই বাংলাদেশকেন্দ্রিক।

বাংলাদেশ মানে সাম্প্রতিক বছরে সাফ-ব্যর্থতা। সেই ব্যর্থতার বৃত্ত এবার ভাঙতে পারবে বাংলাদেশ? সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পুরোনো কথাগুলোই বলে গেলেন নতুন করে, ‘আমি খেলে দিতে পারব না মাঠে। আমি তো রান্না করে দিতে পারব, খাইয়ে দিতে পারব না। ওটা খেলোয়াড়দের কাজ।’
জাতীয় দলের কথা উঠলে সালাউদ্দিন একটা কথা সব সময়ই বলেন। বাফুফে সব সুযোগ-সুবিধা দেবে। কালও বললেন সে কথাই। সঙ্গে যোগ করলেন, ‘গত ১০ বছরে জাতীয় দল যে সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, গত ৫০ বছরে তা পায়নি। কাতারে ট্রেনিং করে এসেছে কদিন আগেই, থাইল্যান্ডে ম্যাচ খেলেছে। আমাদের সময় এত কিছু ছিল না।’

তবে প্রশ্ন উঠেছে, অ্যান্ড্রু ওর্ডকে এক বছর আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সাফ ফুটবল সামনে রেখে। হঠাৎ বিনা নোটিশে তিনি চলে গেলেন কেন? কেন তাঁকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হলো না? সালাউদ্দিনের উত্তরটা বেশ মজার, ‘অ্যানহ্যাপি ওয়াইফ ইজ নট আ গুড ওয়াইফ। সে থাকতে চায়নি। আমরাও তাকে সেধে রাখিনি। পৃথিবীটা অনেক বড়। তার চাইতেও ভালো কোচ আছে।’

সেই ‘ভালো’ কোচের নিয়োগ ১০ এপ্রিলের মধ্যে হওয়ার কথা থাকলেও এখনো হয়নি। বাফুফের সহসভাপতি ও জাতীয় দল কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদ অবশ্য বললেন যত দ্রুত সম্ভব নতুন কোচ পাবে জাতীয় দল, ‘আগামী আট-দশ দিনের মধ্যে নতুন বিদেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে। জাতীয় দল প্রস্তুতির মধ্যে আছে এবং সামনে তা অব্যাহত থাকবে।’

নতুন কোচের ব্যাপারে একটু আভাস-ইঙ্গিত পাওয়া গেল সালাউদ্দিনের কথায়। জানালেন, একজন ব্রিটিশ কোচের সঙ্গে বাফুফের আলোচনা চলছে। সম্ভবত ওই ব্রিটিশ কোচই বাংলাদেশের নতুন করে হবেন। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের ডিফেন্ডার টেরি বুচারের জীবনবৃত্তান্তও ছিল বাফুফের হাতে। তবে তাঁকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। না নেওয়ার কারণটাও বললেন, ‘তাঁর ভাষা বুঝবে না আমাদের ফুটবলাররা।’ অবশ্য সব বিদেশি কোচের ভাষা বুঝতেই সমস্যা হয় বাংলাদেশের ফুটবলারদের।

ওদিকে মাঠের বাইরে সাফ আয়োজনে বাফুফের বড় দুশ্চিন্তার নাম এখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের জীবনীশক্তি হারানো ফ্লাডলাইট। যেখানে ১২০০ লাক্স আলো দরকার, সেখানে আছে মাত্র তিন-চার শ। নিবু নিবু এই আলোর কারণে সাফের ম্যাচগুলোর সময়ও ঠিক করা যাচ্ছে না। টুর্নামেন্টটি ঝুঁকির মুখে পড়বে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। সালাউদ্দিন বিষয়টা নিয়ে তাকিয়ে সরকারের দিকে, ‘আমরা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দুটি চিঠি দিয়েছি ফ্লাডলাইট ঠিক করতে। আশা করি, আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে ক্রীড়ামন্ত্রী ও ক্রীড়াসচিবের সঙ্গে আলোচনা হবে আমাদের।’

এবার সাফে নেই গতবারের রানার্সআপ আফগানিস্তান। দলটি দক্ষিণ এশিয়া ছেড়ে চলে গেছে মধ্য এশিয়ায়। তবে দলটি নাকি ফিরতে চেয়েছিল এবারই। কিন্তু গত সপ্তাহে ঢাকায় সাফের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আফগানিস্তানকে নিয়ে আর নয়। এখন থেকে সাত দলের সাফ হবে।