'পাকিস্তান গর্তে পড়ে যায়নি'

পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দল। ফাইল ছবি সংগৃহীত
পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দল। ফাইল ছবি সংগৃহীত
>
  • ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল পাকিস্তান
  • ফিফা নিষেধাজ্ঞায় পড়ে শেষ সাফ ফুটবলে খেলা হয়নি তাদের
  • ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে এখন ২০৩-এ আছে পাকিস্তান

২০১৫ সালের ২৩ মার্চ শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল পাকিস্তান। রাশিয়া বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইপর্বের সে ম্যাচে ইয়েমেনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। এরপরে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে আর মাঠা নামা হয়নি। মাঝে জুটেছিল আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার নিষেধাজ্ঞা। সে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত মাসে। আবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার প্রহর গুনছে পাকিস্তান।

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়ে ২০১৫ সাফে অংশগ্রহণ করা হয়নি পাকিস্তানের। ৪ সেপ্টেম্বরে ঢাকায় নেপালের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ। গ্রুপ ‘এ’তে তাদের সঙ্গী আছে বাংলাদেশ ও ভুটান।

আবার নতুন উদ্যমে জেগে ওঠার কাজ শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যে সাফকে লক্ষ্য করে ব্রাজিলিয়ান কোচ জোস অ্যান্তোনিওকে নিয়োগ দিয়েছে তারা। প্রায় তিন বছরের বেশি সময় পর জাতীয় দল গঠন করে কতটুকু সাফল্য আসবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। কিন্তু পাকিস্তান জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক মোহাম্মদ আদিল সাফকেই বানিয়েছেন ফিরে আসার মঞ্চ হিসেবে, ‘আমাদের জাতীয় দল অনেক দিন খেলার বাইরে ছিল। এতে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি, এটা সত্যি। কিন্তু পাকিস্তানের ফুটবল গর্তে পড়ে যায়নি। এই সাফেই পাকিস্তান ফিরে আসবে।’ হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে জানান আদিল।

জাতীয় দলের এত দিন মাঠের বাইরে থাকাটা সাপে বর হয়ে এসেছে ফুটবলারদের কাছে। তারা এত দিন এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া ফুটবলে নাম লিখিয়ে ফেলেছে। সহ-অধিনায়ক আদিল মাঝে কয়েক বছর কিরগিজস্তানেরে টপ ক্লাব দর্দোই বিশকেকে খেলে এবার নাম লিখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের তৃতীয় বিভাগের ক্লাব হাওকেসবুরি সিটিতে। নিয়মিত অধিনায়ক ফরোয়ার্ড কলিমুল্লাহ খান মেজর সকার লিগে টালসা রাফনেসের হয়ে খেলে বর্তমানে খেলছেন তুরস্কের তৃতীয় বিভাগে। তাদের তারকা স্ট্রাইকার হাসান বশির খেলছেন ডেনমার্কের দ্বিতীয় বিভাগে। আর ইংলিশ বংশোদ্ভূত জেশ রহমান তো দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন হংকংয়ের শীর্ষ ক্লাবগুলোতে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে খেলছেন।

আদিল মনে করেন, সবাই আবার এক হয়ে পাকিস্তানকে ফেরাতে পারবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে, ‘জাতীয় দল দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকলেও আমরা তো আর খেলার বাইরে ছিলাম না। আমরা নিয়মিত খেলার মধ্যেই ছিলাম। আমাদের খেলোয়াড়েরা বিভিন্ন দেশে খেলে বেড়াচ্ছে। সবাই একটা দল হয়ে খেলতে পারলে এই গ্রুপ থেকে সেমিফাইনাল খেলা তো কোনো কঠিন ব্যাপার নয়।’ বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে মনে করেন আদিল।