প্রিয় মনুর জন্য মন কাঁদছে মোহামেডান-সতীর্থের

১৯৮৬ সালের সেই মোহামেডান দল। ছবি: সংগৃহীত
১৯৮৬ সালের সেই মোহামেডান দল। ছবি: সংগৃহীত
মনুর জন্য মন কাঁদছে ইলিয়াস হোসেনের। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইলিয়াস ছিলেন মনুর মোহামেডান-সতীর্থ। ১৯৮৬ সালে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মনু-ইলিয়াসের যুগল গোল অমর হয়ে আছে মোহামেডান সমর্থকদের স্মৃতিতে।

তিন-চার বছর মোহামেডানের জার্সিতে মনুর সঙ্গে খেলেছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইলিয়াস হোসেন। মনুকে ঘিরে অজস্র স্মৃতি তাঁর ভান্ডারে। ১৯৮৬ সালে মনু-ইলিয়াস যুগলের গোলেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপার পথ পরিষ্কার হয়েছিল মোহামেডানের। সে ম্যাচে দুর্দান্ত ‘রেইনবো’ গোল করে ঢাকার মাঠের ফুটবল দর্শকদের কাছে অমর হয়ে আছেন মনু। ম্যাচে অন্য গোলটি করেছিলেন ইলিয়াস হোসেন। মনুর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ৩২ বছর পেছনে ফিরে গেলেন আজ ইলিয়াস, ‘ম্যাচটি ছিল আমার জীবনেরও সেরা, মনুর জীবনেরও সেরা ম্যাচ। তা পরবর্তী সময়ে বহুবার বলেছে মনু।’
সতীর্থ ও ছোট ভাই মনুর মৃত্যুসংবাদটি পাওয়ার পর থেকেই মনটা বিষণ্ন হয়ে আছে ইলিয়াসের। তাঁর দৃষ্টিতে মাঠের বাইরে মনু ছিল অমায়িক এক মানুষ, ‘অমায়িক একটা ছেলে চলে গেল। হাসি-খুশিতে ক্লাবটা ভরিয়ে রাখত। মনু ক্লাবে ঢুকলেই বোঝা যেত, সে এসেছে। ওর কাণ্ড-কীর্তি দেখে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতাম আমরা।’
সবাইকে হাসি–খুশিতে ভরিয়ে রাখা মানুষটা আজ নিজেই চলে গেলেন। হাসপাতালে মনুকে দেখতে গিয়েছিলেন ইলিয়াস। সে স্মৃতিটা খুব নাড়া দিচ্ছে তাঁকে, ‘হাসপাতালে মনু আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিল। সেদিন মনে পড়ে যাচ্ছিল মাঠেও গোলের পর সে এভাবেই আমাকে জড়িয়ে ধরত। খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ওকে দেখে।’