কোচ প্রশ্নে এখনো উত্তর নেই বিসিবির

কোর্টনি ওয়ালশকে দীর্ঘ মেয়াদে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে চায় না বিসিবি। ছবি: প্রথম আলো
কোর্টনি ওয়ালশকে দীর্ঘ মেয়াদে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে চায় না বিসিবি। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ কোচ পাচ্ছে কবে? গত কয়েক মাসে প্রশ্নটা শুনতে শুনতে বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের কান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড়! এই মাসের মধ্যে হবে, ওই মাসের মধ্যে হবে বলে আশ্বস্ত করতে চাইছেন বিসিবির কর্তারা। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর ছয় মাস চলে গেছে, এখনো প্রধান কোচ পায়নি বাংলাদেশ দল।

কিন্তু কেন কোচ নিয়োগে এত দেরি হচ্ছে, আজ আরেকবার ব্যাখ্যা দিলেন বিসিবি মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস, ‘এবার একটু সময় লাগছে। যত ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বাড়ছে, বেশির ভাগ কোচ ওইদিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। কম সময়ে অনেক লাভ, দীর্ঘ মেয়াদে এখানে কেউ আসতে চাই না। এ কারণে সময় লাগছে। সভাপতি বলেছেন, আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে হয়ে যাবে।’

অবস্থা তাহলে এমন দাঁড়িয়েছে যে একটি জাতীয় দলের কোচ হতে চাইছেন না কেউ! জালাল অবশ্য তা মনে করেন না। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের কোচ হতে চান, এমন চার-পাঁচজন কোচ আছেন হাতে। তবু কেন দেরি হচ্ছে? বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধানের যুক্তি, ‘আমরা যে রকম কোচ চাচ্ছি, সেটা পাচ্ছি না। এটাই সমস্যা। চার-পাঁচজন কোচ আছে, যারা প্রধান কোচ হতে আগ্রহী। কিন্তু “আরও ভালো চাই” এমন চিন্তায় অপেক্ষা করছি। যাকে আনব, তাকে দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব দিতে চাই। এক বছর বা ছয় মাসের জন্য তো সে কোচ হবে না। অন্তত দুই বছরের দায়িত্ব দিতে হবে।’

কোচ যদি এই মুহূর্তে না পাওয়াই যায়, নিদাহাস ট্রফিতে ভালো করা কোর্টনি ওয়ালশকে দীর্ঘ মেয়াদে কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেবে বিসিবি? ‘ওয়ালশ কিংবদন্তি, একজন আইকন। তাঁকে দীর্ঘ মেয়াদে দিতে চাচ্ছি না আমরা, তিনিও সেটা ভালো করেই জানেন। বোলিংয়ে পারদর্শী এমন নয়, অলরাউন্ডার বা ব্যাটিং পারদর্শী কোচ হলে ভালো হয়’—ক্যারিবীয় কিংবদন্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেন জালাল ইউনুস।

জানুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে কাজ করেছেন খালেদ মাহমুদ। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা ব্যর্থতায় দায়িত্ব তো ছেড়েছেনই, ভীষণ সমালোচিত হওয়ায় রেগেমেগে ঘোষণা দেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে আর থাকতে চান না! মাহমুদ অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট ছেড়ে যাননি। মার্চে শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে ছিলেন ম্যানেজার হিসেবে। সামনে দলে তাঁর ভূমিকাটা একই থাকবে নাকি বদলাবে, সেটি অবশ্য বলতে পারেননি বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান, ‘নিদাহাস ট্রফিতে তাঁকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এরপর আর দলের কোনো দায়িত্বে নেই তিনি। দায়িত্ব দিলে আনুষ্ঠানিকভাবে দিতে হবে। ঘোষণা ক্রিকেট বোর্ড থেকেই আসবে।’