ঘরোয়া ক্রিকেটেও লোয়ার অর্ডারে নামতে হয় বলে ক্ষুব্ধ মোসাদ্দেক

মোসাদ্দেক হোসেন। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মোসাদ্দেক হোসেন। প্রথম আলো ফাইল ছবি
>
  • মোসাদ্দেক হোসেনের পরিচয় মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে
  • কিন্তু ঘরোয়াতে তাঁকে ব্যাটিং করতে হচ্ছে লোয়ার অর্ডারে
  • এ নিয়ে অসন্তুষ্ট মোসাদ্দেক

বাংলাদেশের শততম টেস্টে অভিষেক। অভিষেক ইনিংসে ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। বল হাতেও কম যান না, সেটা দেখিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। সেই মোসাদ্দেক হোসেনই চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ দলের বাইরে। পরবর্তী সময়ে ফিরলেও পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক না হওয়ায় ইতিমধ্যে বাদ পড়েছেন বিসিবির চুক্তি থেকেও। দুই দিন আগে বিসিএলে সেঞ্চুরি করে যেন সে উপেক্ষার মোক্ষম জবাব দিলেন।

প্রায় ওয়ানডে স্টাইলে রান তুলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। সে সেঞ্চুরিটাও আট নম্বরে নেমে। এমন দুর্দান্ত এক শতকের পর মোসাদ্দেকের তো আনন্দেই থাকার কথা। কিন্তু সেটাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে ক্ষোভ। তাঁর ক্ষোভ হলো লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করা। একজন পরিণত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে যদি ধারাবাহিকভাবে লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়, ক্ষোভ জমে থাকারই কথা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে বিসিএলেও নিচের দিকে ব্যাট করতে হচ্ছে মোসাদ্দেককে। এ নিয়েই ক্ষোভ ঝাড়লেন তিনি, ‘আমি জাতীয় দলে যে জায়গায় খেলি, তা ঠিক আছে। কারণ জাতীয় দলে ওপরে যাঁরা খেলেন, তাঁদের নিয়ে বলার কিছু নাই। কিন্তু তার মানে এই না যে ঘরোয়াতেও আমি সাত নম্বর বা আট নম্বরে খেলব। এই জায়গায় আমার অভিযোগ আছে। আমি আশা করব টিম ম্যানেজমেন্ট এটা দেখবে। আশা করব, নির্বাচকেরাও খেয়াল করবেন।’

জাতীয় দলে ছয়-সাতে নেমেও কার্যকর ইনিংস আছে তাঁর। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে নিচে ব্যাটিং করতে নামলে আর করার কিছু থাকে না বলে মনে করেন মোসাদ্দেক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সীমাবদ্ধতার কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মোসাদ্দেক, ‘খেয়াল করে দেখবেন, আমি চার-পাঁচ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা তো ক্রিস গেইল না, আন্দ্রে রাসেলও না যে চাইলেই নেমে ছয় মারব। আমাদের শরীর ওইভাবে সাপোর্টও করে না। পরিস্থিতি এমন ছিল যে নেমেই মারতে হতো। সেটা যে একদিন হয়েছে, তা-ও না। আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতির সঙ্গে শরীরকে ওভাবে তৈরি করার ব্যাপারটাই নাই।’