ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে পাকিস্তান ছাড়তে পারেননি আমির

ভিসা জটিলতায় যুক্তরাজ্যে যেতে পারেননি আমির। ফাইল ছবি
ভিসা জটিলতায় যুক্তরাজ্যে যেতে পারেননি আমির। ফাইল ছবি

আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড—তিন দেশে পাঁচ ম্যাচের এক সফরের জন্য এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছে পাকিস্তান। তিন টেস্ট ও দুই টি-টোয়েন্টি এই সফরের শুরুতেই হালকা ধাক্কা খেয়েছে দলটি। ভিসা জটিলতায় যে দেশে আটকা পড়েছেন দলের মূল পেস ভরসা মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তান বোর্ড অবশ্য আশাবাদী, এ সপ্তাহেই ভিসা মিলবে আমিরের।

আগামী ১১ মে টেস্ট অভিষেক হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের। এমন ঐতিহাসিক ম্যাচে পাকিস্তানকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে আইরিশরা। এরপর ইংল্যান্ডে দুটো টেস্ট খেলবে পাকিস্তান। আর জুনের মাঝপথে স্কটল্যান্ডে গিয়ে দুটো টি-টোয়েন্টি দিয়ে শেষ হবে এ সফর। ৫০ দিনের লম্বা এ যাত্রা শুরু হবে ২৮ এপ্রিল কেন্টের বিপক্ষে এক প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে।

এমন মহাপরিকল্পনার মাঝে আমিরের ভিসা–বিপত্তি কিছুটা ঝামেলা বাধিয়েছে। পাকিস্তান স্কোয়াডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার কেন ভিসা পাননি, এ নিয়ে অবশ্য নিঃসন্দেহ হতে পারছেন না। অনেকেই বলছেন, স্ত্রীর মাধ্যমে ব্রিটিশ পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আমির নাকি দীর্ঘমেয়াদি স্পাউস ভিসার আবেদন করেছেন আগেই। এতেই নাকি এখন খেলার জন্য ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। পিসিবির মুখপাত্র অবশ্য বলছেন এমন কিছু ঘটেনি, ‘আমির দলের সঙ্গে আসেনি, কারণ আমরা ওর ভিসার অপেক্ষায় আছি। ওর ভিসা এখনো পাওয়া যায়নি কিন্তু আমরা আশাবাদী সে বুধবারের মধ্যে ভিসা পেয়ে আবে এবং সেদিনই সে যাত্রা শুরু করতে পারবে।’

আমিরের জন্য এমন বাধা অবশ্য নতুন কিছু নয়। পাকিস্তানের সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরেও (২০১৬) ভিসা পেতে ঝামেলা হয়েছিল আমিরে। ২০১০ সালের স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে সেবার ভিসা–বিপত্তিতে পড়তে হয়েছিল আমিরকে। সেবার ইসিবির হস্তক্ষেপে ঝামেলা মিটেছিল। ২০১৬ সালে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নারীকে বিয়ে করেছেন আমির। এরপর থেকে অবশ্য যুক্তরাজ্যে নিয়মিতই আসা-যাওয়া আমিরের।