মাহমুদউল্লাহর দূরদর্শিতায় মুগ্ধ বিসিবি চিকিৎসক

চোট নিয়ে মাহমুদউল্লাহর দূরদর্শিতা মুগ্ধ করেছে বিসিবি চিকিৎসককে। ছবি: প্রথম আলো
চোট নিয়ে মাহমুদউল্লাহর দূরদর্শিতা মুগ্ধ করেছে বিসিবি চিকিৎসককে। ছবি: প্রথম আলো
তিন-চার মাস ধরে ওষুধ খেয়েই অ্যাঙ্কেলের চোট সামলেছেন। এখন ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় কোনো ঝুঁকি নেননি মাহমুদউল্লাহ। বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জাতীয় ক্রিকেট দলের এই তারকাকে বলছেন দূরদর্শী!


অ্যাঙ্কেলের চোটটা ‘ম্যানেজ’ করেই খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। গত তিন-চার মাস ধরে ব্যথা যখন বেড়েছে, ওষুধ খেয়ে সেটা সামলেছেন। এভাবেই খেলেছেন বিসিএলের চতুর্থ ও পঞ্চম রাউন্ড। ‘নাহ, অনেক হয়েছে, আর ঝুঁকি নেওয়া যাবে না’—এমন ভেবেই বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ। জানিয়েছেন, চোট নিয়ে আর খেলবেনই না। কাল থেকে শুরু বিসিএলের শেষ রাউন্ডে তাই মাহমুদউল্লাহকে পাচ্ছে না ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। 

চোটে পড়েছেন, চিকিৎসকের কাছে আসবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে বিসিবির চিকিৎসককে মুগ্ধ করেছে মাহমুদউল্লাহর দূরদর্শিতা। জুন থেকে টানা আট মাস বাংলাদেশ দল ব্যস্ত থাকবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। টানা এই সময়ে জাতীয় দলকে যেন নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারেন, মাহমুদউল্লাহ তাই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন বিসিএল থেকে। যেহেতু টানা খেলা সামনে, চোট থেকে সেরে ওঠাতেই বাংলাদেশ দলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের যত মনোযোগ।
চোট নিয়ে মাহমুদউল্লাহর এই ভাবনা মুগ্ধ করেছে দেবাশীষ চৌধুরীকে, ‘ওর ব্যথাটা সামলে নেওয়ার মতোই। এখন শতভাগ ব্যথামুক্ত খেলোয়াড় পাবেন না, যে পরিমাণ খেলা খেলতে হচ্ছে তাদের। চোট কীভাবে সামলাচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। মাহমুদউল্লাহ বুদ্ধিমান ছেলে, আমাদের কাছে এসে বলেছে আমি আর পারছি না। সে তো লুকাতেও পারত। সে না বললে আমরা জানতামও না। একটা ওষুধ খেলে যেহেতু ব্যথা চলে যাচ্ছে। আগামী আট মাসের যে ব্যস্ত সূচি, এ সময়ে সে শতভাগ চোটমুক্ত হয়ে খেলতে চায়। বিসিএলের শেষ ম্যাচটা খেলতে ওর খুব একটা অসুবিধা হতো না। কিন্তু বলছে, সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে শতভাগ দিতে চায় জাতীয় দলে। ওর ভাবনাটা অসাধারণ। ওকে তাই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।’
আপাতত এক সপ্তাহের বিশ্রামে থাকছেন মাহমুদউল্লাহ। বিসিবি চিকিৎসকের আশা, দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সেরে উঠবেন, ফিট হয়ে যোগ দেবেন ১৩ মে থেকে শুরু জাতীয় দলের ক্যাম্পে। জাতীয় দলে এখন চোটের মিছিল। হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া নাসির হোসেনের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু সেটি কোথায় হবে, নিশ্চিত করতে পারেননি বিসিবির চিকিৎসক। দেবাশীষ আরও জানালেন, গা গরমে ফুটবল খেলতে গিয়ে অ্যাঙ্কেলে চোট পাওয়া মুশফিকুর রহিম ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁর ফেরার কথা। ‘কনজারভেটিভ’ পদ্ধতিতে চলছে মেহেদী হাসান মিরাজের পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া। ইনজেকশনে সমাধান না হলে মিরাজকে যেতে হতে পারে শল্যবিদের ছুরির নিচে।