ভারতের কাছে পাকিস্তান ৭ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চায়

দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না হওয়ায় ভারতের কাছে ক্ষতিপূরণ চায় পাকিস্তান। ফাইল ছবি
দ্বিপক্ষীয় সিরিজ না হওয়ায় ভারতের কাছে ক্ষতিপূরণ চায় পাকিস্তান। ফাইল ছবি
>

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০১৪ সালের সমঝোতা স্মারক না মানার জন্য ভারতের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে পাকিস্তান

ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজ হয় না বহু দিন। ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট দল দুটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ খেলতে ভারতে এসেছিল। ব্যস, সেখানেই শেষ। এরপর ২০১৪ সালে দুই দেশের মধ্যে সিরিজ-সংক্রান্ত একটা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও কোনো সিরিজ মাঠে গড়ায়নি। সে কারণেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছ থেকে ৭ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে পাকিস্তান। আইসিসির এক সভায় অংশ নিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল এখন কলকাতায়। ২৫ ও ২৬ এপ্রিল এই সভা অনুষ্ঠানের কথা আছে। আগামী অক্টোবরে আইসিসির তিন সদস্যের একটি প্যানেল পাকিস্তানের এই দাবির শুনানি করবে।

ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়টি বিসিসিআই উড়িয়েই দিতে চাচ্ছে। ভারতীয় বোর্ডের সচিব অমিতাভ চৌধুরী বলেছেন, ‌‘পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সে সময় কোনো লিখিত চুক্তি হয়নি। সিরিজ আয়োজনের একটা অভিপ্রায় প্রকাশ করা হয়েছিল চিঠির মাধ্যমে। পাকিস্তানকে সেই চিঠি আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য দোষ দিতে চাই না। খুব সম্ভবত তাদের দেশেই ব্যাপারটা নিয়ে বোর্ডের ওপর চাপ আছে।’

২০১৪ সালে দুই দেশের মধ্যে যে সমঝোতা স্মারক (ভারতের ভাষায় সিরিজ আয়োজনের লিখিত অভিপ্রায়) সই হয়েছিল, সেটাতে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনের কথা ছিল। ২০১৫ সালের শেষে একটা সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেই সিরিজের বিপক্ষে থাকায় সেটি আর আয়োজিত হয়নি। প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পরে শ্রীলঙ্কায় সেই সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা হয়েছিল।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি নজম শেঠি মনে করেন, ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন করাটা জরুরিই, ‘উপমহাদেশের মানুষ এই সিরিজটি চায়। তাই উপমহাদেশের মানুষের জন্যই ভারতের উচিত সিরিজ খেলা।’

পিসিবির দাবির আইনগত ভিত্তি কতটা, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন আছে। বিসিসিআই মনে করে, সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি ভিন্ন ব্যাপার। চুক্তি করলে তা পূরণের বাধ্যবাধকতা থাকে। সমঝোতা স্মারকে সেই চাপ নেই।