পাইপলাইন শক্তিশালী করার অভিযানে বিসিবি

সুনসান নীরব বিসিবিতে আজ দুপুরের দিকে এলেন নাঈমুর রহমান। ঘণ্টা খানেক বৈঠক করলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের সঙ্গে। কী নিয়ে আলাপ হলো বাংলাদেশ দলের সাবেক দুই অধিনায়কের? নাঈমুর পরে নিজেই জানালেন, বৈঠকটা হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট নিয়ে।

বাংলাদেশ দল যখন খারাপ করে, তখন একটি প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে, পাইপলাইন কতটা শক্তিশালী? বাংলাদেশ দলের রিজার্ভ বেঞ্চের কী অবস্থা? ভবিষ্যতের সাকিব-তামিম-মুশফিকদের তুলে নিয়ে আসতে বিসিবি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে কি? জাতীয় দলে খেলোয়াড় সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ সেতু হিসেবে কাজ করে এইচপি। বিসিবির এইচপি ইউনিটের প্রধান নাঈমুর আজ সংবাদমাধ্যমকে বললেন, পাইপলাইন শক্তিশালী করতে তাঁরা ভীষণ তৎপর, ‘পাইপলাইন হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। যে দলের পাইপলাইন যত বেশি শক্তিশালী, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তারা তত বেশি শক্তিশালী। সব দেশের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। এই এইচপি প্রোগ্রাম কিংবা পাইপলাইনকে আরও শক্তিশালী করা আমাদের লক্ষ্য। জাতীয় দলের আগের ধাপ যদি আমরা এটাকে ধরি, আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট, প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি করে যদি সুযোগগুলো তৈরি করতে পারি, তাহলে পাইপলাইনটা শক্তিশালী হবে।’

বাংলাদেশ দলের পাইপলাইন শক্তিশালীর চ্যালেঞ্জ নাঈমুরের সামনে। ছবি: বিসিবি
বাংলাদেশ দলের পাইপলাইন শক্তিশালীর চ্যালেঞ্জ নাঈমুরের সামনে। ছবি: বিসিবি

আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে বিসিবি এইচপি দলের কার্যক্রম। কক্সবাজারে পেসারদের একটি প্রোগ্রাম দিয়ে শুরু হচ্ছে এ কার্যক্রম। নাঈমুর জানালেন, প্রতিবারের মতো এবার আর মিরপুরে আবদ্ধ থাকা নয়, এইচপির কার্যক্রম পরিচালিত করতে চান ঢাকার বাইরেও। ঢাকার বাইরের সেই ক্যাম্পে ক্রিকেটীয় জ্ঞান বাড়াতে কর্মশালা ও আলোচনার ব্যবস্থা করা হবে। যেটি পরিচালনা করবেন আইকনিক ক্রিকেটারদের কেউ। তিনি হতে পারেন জাতীয় দলের সাবেক কোনো ক্রিকেটার, বর্তমান দলের সিনিয়র কেউ অথবা বিদেশি কোনো ক্রিকেটার।

অনুশীলনের পাশাপাশি প্রতিবার এইচপি দল কিছু ম্যাচ খেলে, বিদেশ সফরও করে থাকে। তবে গতবার অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডে এইচপি দলের প্রতিপক্ষ নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। অস্ট্রেলিয়ায় যেমন বিসিবি এইচপি খেলেছিল বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে। এবার যেনতেন প্রতিপক্ষের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে আগ্রহী নন বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট অধিনায়ক ও এইচপি প্রধান নাঈমুর, ‘গতবার কী হয়েছে সেটা জানি না। এবার যেমন ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছিল বা সাইমন (এইচপি কোচ) আয়োজন করছিল, তখন আমি বলেছিলাম, প্রতিপক্ষ কারা জানতে চেয়েছি। না জেনে শুধু শুধু দল পাঠালাম, তাহলে তো হলো না। আমি মনে করি, আমার প্রতিপক্ষ যদি এইচপি বা “এ” দলের সঙ্গে খেলার মতো হয়, তাহলে আমরা যাব।’