এসেনসিওকে আক্রমণের কিছু শেখাতে হয় না জিদানের

ম্যাচের রূপ বদলে দেওয়া গোলের পর সবাইকে তাঁর নামটা মনে করিয়ে দিতেই পারেন এসেনসিও। ছবি: রয়টার্স
ম্যাচের রূপ বদলে দেওয়া গোলের পর সবাইকে তাঁর নামটা মনে করিয়ে দিতেই পারেন এসেনসিও। ছবি: রয়টার্স
>
  • বায়ার্ন মিউনিখকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ
  • রিয়ালের হয়ে গোল করেছেন মার্সেলো ও এসেনসিও
  • সেমিফাইনালের পরের লেগ ১ মে, রিয়ালের মাঠে

জিনেদিন জিদান যে মার্কো এসেনসিওর অনেক বড় ভক্ত, এটা সবাই জানেন। দল নির্বাচনে এর ছাপ ফেলতে দেন না, কিন্তু মেসির পরে সবচেয়ে ভালো বাঁ পা এসেনসিওর—এমন কথা জিদানই শুনিয়েছেন। তবে গত রাতে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জয়ের পর যা বলেছেন, তাতে গর্বিত হয়ে উঠবেন যেকোনো ফুটবলার। স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে নাকি আক্রমণের কোনো কিছুই শেখাতে হয় না!

গতকাল বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচটা খুব একটা ভালো খেলেনি রিয়াল মাদ্রিদ। তবু ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে জিদানের দল। কারণ, লুকাস ভাসকেজ ও এসেনসিও জুটি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্রতি–আক্রমণে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট পর্বে এসেনসিওর গোল অবশ্য নতুন কিছু নয়। গত মৌসুমে বায়ার্নের বিপক্ষেই গোল ছিল তাঁর। ফাইনালে জুভেন্টাসের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকেছিলেন এই মায়াবী ভ্রম জাগানো ফুটবলার। বল পায়ে কোচ জিদানের মতোই ম্যাচের রূপ বদলে দিতে পারেন এসেনসিও।

জিদান অবশ্য এতে নিজের কোনো ভূমিকা দেখেন না, ‘বল পায়ে কী করতে হবে এসেনসিও সেটা ভালোভাবেই জানে। আমি ওসব নিয়ে তাকে কিছু বলতে আই না। শুধু রক্ষণাত্মক কাজে কিছু শেখানোর চেষ্টা করি। এটা (ম্যাচ জেতানো গোল) নতুন কিছু নয়। সেই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সে সত্যিকারে গতি আর ধার নিয়ে আসে খেলায়। যখনই মাঠে নেমেছে খেলায় ভূমিকা রেখেছে। আমি ওকে নিয়ে খুশি, ওর সতীর্থরাও।’

এসেনসিওর ওই গোলেই পরের লেগে নিজেদের মাঠে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামতে পারবে রিয়াল। জিদান তাই এ ম্যাচের ফল নিয়ে তুষ্ট, ‘আমরা অবশ্যই আরও ভালো খেলতে পারতাম। কিন্তু এ ম্যাচ নিয়ে আমি খুশি।’