আবাহনী দেখল ভারতের ছেত্রী শো

এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আনন্দ বেঙ্গালুরুর। ছবি: প্রথম আলো
এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আনন্দ বেঙ্গালুরুর। ছবি: প্রথম আলো
>
  • এএফসি কাপে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরেছে আবাহনী
  • এক গোল করলেও ম্যাচের নায়ক সুনীল ছেত্রী

মাঠ থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে এলেন সুনীল ছেত্রী। দেখে বোঝার উপায় নেই ৪-০ গোলে জয়ী বেঙ্গালুরু এফসি দলের অধিনায়ক এই ব্যক্তি। জোড়া গোল করেছেন নিশু কুমার, কিন্তু ম্যাচের নায়ক সুনীল। অথচ শরীরী ভাষায় তার ছিটেফোঁটাও নেই।
আগের ম্যাচে মালদ্বীপের নিউ রেডিয়েন্টের বিপক্ষে ৫-১ গোলে হারা আবাহনী আজ নিজেদের মাঠে রক্ষণে পাঁচজন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিল। তাতেও ঠেকানো গেল না বেঙ্গালুরুকে!
বেঙ্গালুরু দলে তিনজন স্প্যানিশ ও একজন অস্ট্রেলিয়ান থাকলেও দলের ভরসা ওই সুনীল। কখনো অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেললেন আবার কখনো স্ট্রাইকার। তাঁকে ঘিরেই যেন কোচ আলবার্তো রোকার সব ক্যারিশমা। গত বছর এই মে মাসেই এএফসি কাপে আবাহনীর বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল বেঙ্গালুরু। সেদিন সুনীল জ্বলেনি বলেই হয়তো অন্ধকারে ছিল বেঙ্গালুরু।
১৩ মিনিটে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার সেগোভিয়াকে দিয়ে গোলের খাতা খুলিয়েছেন সুনীল। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে দৌড়ে আবাহনীর রক্ষণভাগকে পেছনে ফেলে দূরের পোস্টে নিখুঁত ক্রস। গোলমুখ থেকে স্প্যানিশ সেগোভিয়ার কাজটা ছিল শুধু পা লাগিয়ে জালে জড়ানো (১-০)।
দুই মিনিট পরে গোল করালেন নিশু কুমারকে দিয়ে। মাঝমাঠ থেকে আসা বল আবাহনীর দুই সেন্টারব্যাক বাদশা ও নাসিরের মধ্যে আরামে দাঁড়িয়ে নিয়ন্ত্রণে নিলেন সুনীল। এগিয়ে আসা নিশুকে বাড়িয়ে দিতেই বল জালে (২-০)।
আবাহনীতে খেলা সাদ, বাদশার মতো তরুণেরা পারলেন না ৩৩ বছরের সুনীলকে বোতলবন্দী করতে। ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি, নিজেরাও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারলেন না।
মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণটা নিজেদের পায়ে রাখল ভিক্টর পেরেজ ও পারতালু জুটি। তাঁদের কাজই ছিল বলটা সুনীলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বাকি কাজটা সুনীলই করে নিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে নিশু কুমারকে দিয়ে ৩-০ করালেন ভারতের জাতীয় দলের অধিনায়ক। মাঝমাঠ থেকে আবাহনীর ডিফেন্ডারদের পেছনে রাখলেন মাপা এরিয়াল পাস। সেখান থেকে নিশুর দ্বিতীয় ও দলীয় তৃতীয় গোল।
তিন গোল করানোর পরে বাকি ছিল নিজের গোলটা করা। সে গোলটা করলেন ৬০ মিনিটে। আবাহনীর বিপক্ষে বড় জয় নিয়ে এএফসি কাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে গেল ভারতীয় ক্লাবটি। আর টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে এএফসি কাপ শেষ করল আবাহনী।