উইলিয়ামসনের অবিশ্বাস্য ইনিংসেও পার পেলেন না সাকিবরা
সাকিব আল হাসানকে দেখা গেল ‘অলস’ সময় কাটাচ্ছেন ডাগআউটে! হয়তো ভাবছিলেন কেন উইলিয়ামসন আর মনিষ পান্ডে যেভাবে ব্যাটিং করছেন, আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড করেই খেলা শেষ করবেন দুজন। পারেননি তাঁরা। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাকিবের হায়দরাবাদ থেমেছে ২০৪ রানে।
মঈন আলী-এবি ডি ভিলিয়ার্সের ফিফটিতে হায়দরাবাদকে ২১৯ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বেঙ্গালুরু। নিজেদের শেষ চার আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবুও হায়দরাবাদ অধিনায়ক উইলিয়ামসনের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা যেন বাঁচা-মরার লড়াই! তৃতীয় উইকেটে পান্ডের সঙ্গে ৬৭ বলে ১৩৫ রানের যে অসাধারণ জুটিটা গড়লেন, সেটির বড় কৃতিত্ব অবশ্যই হায়দরাবাদের কিউই অধিনায়ককে দিতে হবে।
উইকেটে এসে পান্ডের যখন থিতু হতে সময় লাগছিল, উইলিয়ামসন রানের চাকা সচল রেখেছেন। দুজনের এই জুটিতেই হায়দরাবাদ স্বপ্ন দেখছিল বিশাল লক্ষ্যটা তাড়া করার। ৩৬ বলে ৮৯ রানের সমীকরণটা একটা সময়ে নেমে এল ১২ বলে ৩৫ রানে, কঠিন হলেও টি-টোয়েন্টিতে যেটি মোটেও অসম্ভব নয়। টিম সাউদির করা ১৯তম ওভারে ১৫ রান তুলে উইলিয়ামসন-পান্ডে বার্তা দিলেন ৬ বলে ২০ রান করাও সম্ভব।
শেষ ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ সিরাজকে ফাইন লেগ দিয়ে ‘উদ্ভাবনী’ শটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে গড়বড় করে ফেললেন উইলিয়ামসন। ৪২ বলে তাঁর ৮১ রানের অসাধারণ ইনিংসটার মৃত্যু ওখানেই। মৃত্যু হায়দারাবাদের জয়ের স্বপ্নেরও। অপর প্রান্তে থাকা পান্ডের অপরাজিত ৬২ রানেও কিছু হলো না।
অদ্ভুত এ ম্যাচটায় একই সঙ্গে দেখা গেল দুর্দান্ত আর বাজে ফিল্ডিংয়ের প্রদর্শনী। মঈন আলীর করা অষ্টম ওভারের শেষ বলটা উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন হায়দরাবাদ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। বলটা ছক্কা হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু সীমানার কাছে চোখের পলকে বাজ পাখির মতো ছোঁ মেরে সেটি যেভাবে ক্যাচে পরিণত করলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, শুধু অবিশ্বাস্য বললেও যেন কম বলা হয়!
ডি ভিলিয়ার্সের দুর্দান্ত ক্যাচের পরই বেঙ্গালুরের ফিল্ডাররা এমন বাজে ফিল্ডিং করলেন। তা দেখে প্রোটিয়া তারকার লজ্জা পাওয়ার কথা! বাজে ফিল্ডিংয়ে নাম লেখালেন বিরাট কোহলিও। বেঙ্গালুরুর ভাগ্য ভালো, এ বাজে ফিল্ডিংয়ের চড়া মূল্য দিতে হয়নি তাদের। শেষ পর্যন্ত তারা জিতেই মাঠ ছেড়েছে। আর তাতে মৃদু আশা থাকল শেষ চারের। অবশ্য ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পাওয়া বেঙ্গালুরুর শেষ চারে উঠতে হলে শুধু নিজেদের বাকি ম্যাচটা জিতলেই হচ্ছে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের দিকেও।