নেইমারকে নিয়েই ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মিশন শুরু

ফিটনেস অনুশীলনে নেইমার। ছবি টুইটার
ফিটনেস অনুশীলনে নেইমার। ছবি টুইটার
>রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে সবার আগে ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু করে দিয়েছে ব্রাজিল। ইনজুরি কাটিয়ে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন নেইমারও। ৩ জুন ক্রোয়েশিয়া ও ১০ জুন অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।

ব্রাজিল ফুটবলে একটা প্রচলিত কথা আছে, রানার্সআপ ট্রফি জিতলেও ব্রাজিল নাকি ব্যর্থ। কারণ, শুধু চ্যাম্পিয়ন ট্রফির লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামে হলুদ জার্সিধারীরা। অথচ ২০০২ বিশ্বকাপে শেষ সোনালি ট্রফি জয় করার পর পেরিয়ে গেছে আরও তিনটি বিশ্বকাপ। চ্যাম্পিয়ন তো দূরের কথা, ওঠা যায়নি শিরোপা মঞ্চেও। ঘরের মাঠে শেষ বিশ্বকাপ তো তাদের জন্য হয়ে আছে কলঙ্ক হয়ে। সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে শেষ হয় তাদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের মিশন। এই কলঙ্ক ঘোচানোর জন্য বিশ্বকাপ জয়ের বিকল্প তো আর কিছুই হতে পারে না।

তাই সবার আগেই বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল সেলেসাওরা। অনুশীলনের জন্য তারা বেছে নিয়েছে নিজেদের দেশের টেরেসোপোলিসের গ্রানজা কোমারি ট্রেনিং কমপ্লেক্স। যদিও ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ত মৌসুম শেষে এখনো সব ফুটবলারকে এক ছাদের নিচে আনা সম্ভব হয়নি। দলের সঙ্গে নেইমার যোগ দিলেও ক্যাসেমিরো, মার্সেলো ও ফিরমিনো চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের কারণে এখনো যোগ দিতে পারেননি ট্রেনিং ক্যাম্পে। গ্রানজার অনুশীলন পর্ব শেষে গ্লোবাল ট্যুরের অধীনে ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের জন্য দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। লন্ডনে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ ৩ জুন ও ১০ জুন ভিয়েনায় অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে খেলবে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ।

স্বাভাবিকভাব দুটি প্রস্তুতি ম্যাচকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ব্রাজিল ফুটবলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর এডু গাসপার বলেন, ‘আমরা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের ট্যাকটিক্যাল বিষয় নিয়ে আলাপ করেছি। এই মুহূর্তে প্রস্তুতি ম্যাচের দুটি দল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।’

বড় ইনজুরি থেকে ফিরলেও অনুশীলনের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নেইমার। গ্রানজাতে হেলিকপ্টারে উড়ে এসেছেন তিনি। এখন তাঁর পুনর্বাসন–প্রক্রিয়ার দিকেই বেশি নজর থাকবে বলে জানিয়েছেন গাসপারকে, ‘নেইমার এখন পুনর্বাসন–প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন। আশা করি, দ্রুতই সে সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে আমরা শুধু নেইমারকে নিয়েই ভাবছি না। তিতের পরিকল্পনা সবার কথা চিন্তা করেই করা হয়েছে।’

অতীত ঘাঁটলে দেখা যায়, ব্রাজিলের ফুটবল কখনোই কারও ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল ছিল না। কিন্তু ব্রাজিলের হেক্সা মিশনে নেইমারকেই যে সামনে থেকে দিতে হবে নেতৃত্ব, তা জানে পুরো ফুটবল বিশ্বই।