অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হলো না

অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের চেহারায় হতাশা স্পষ্টই ফুটে উঠেছে। ছবি: এএফপি
অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের চেহারায় হতাশা স্পষ্টই ফুটে উঠেছে। ছবি: এএফপি

শুরু! বল টেম্পারিং বিতর্কের পর এটাই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সিরিজ। নতুন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও অধিনায়ক হিসেবে টিম পেইনেরও এটি প্রথম সিরিজ। এই সিরিজের মাধ্যমেই ‘নতুন’ অস্ট্রেলিয়ার যাত্রা শুরু। আর এই শুরুটা হলো হার দিয়েই। ওই অর্থেই ‘শুরু’ বলা। ওভালে ৫ ম্যাচ এক দিনের আন্তর্জাতিক সিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া।

বুধবারের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২১৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি অজিরা। তবে এত কম সংগ্রহ নিয়েও অস্ট্রেলিয়া একটা সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছে। তাও আবার মূল অস্ত্র স্টার্ক-কমিন্সদের ছাড়াই; যদিও শেষ পর্যন্ত ইংলিশরাই জিতেছে ৬ ওভার হাতে রেখেই।

অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারকে ভুগিয়েছেন ডেভিড উইলি। এরপর বাকি কাজ সারেন মইন আলী। অ্যারন ফিঞ্চ, শন মার্শ ও পেইনকে তুলে নেন এই অফ স্পিনার। এরপর আদিল রশিদের শিকার হন মার্কাস স্টয়নিস। ৯০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অজিদের ব্যাটিং লাইনআপ তখন চুরমার। অফ ফর্মে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেন। ম্যাক্সওয়েলের ৬৪ বলে ৬২ রান আর অ্যাগারের ৬২ বলে ৪০ রানের ইনিংসেই দুই শ পেরোয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর অ্যাগার একটু লড়াই করেছেন। তাকে ৪০ রানে থামিয়েছেন আদিল রশিদ।
ইংলিশদের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন প্লাঙ্কেট ও মইন আলী। আদিল রশিদ নেন ২ উইকেট।

ইংলিশ টপ অর্ডার সম্পর্কে যাঁদের ধারণা আছে, তাঁরা নিশ্চয় জানেন এই রান তাঁদের জন্য কিছুই নয়। কিন্তু এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের খোলস ছেড়ে বের হতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ।
স্ট্যানলেকের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই জেসন রয় বোল্ড কোনো রান না করেই। হেলস আউট হন ৫ রান করে। আরেক ওপেনার বেয়ারস্টো রিচার্ডসনের বলে আউট হন ২৮ রান সংগ্রহ করে। ৪০ রান না উঠতেই ইংলিশদের ৩ ব্যাটসম্যান নেই!
অজিদের পেস ঝড় সামাল দেন জো রুট ও ওয়েন মর্গ্যান। চতুর্থ উইকেটের এই জুটি ১১৬ রান তোলে। তবে এই দুই ব্যাটসম্যানকে পরপর আউট করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় অস্ট্রেলিয়া। ততক্ষণে রুট ৫০ আর মর্গ্যান ৬৯ রান করে ফেলেছেন।
শেষ দিকে এসে উইলি অপরাজিত ৩৫ রান সংগ্রহ করে দলকে জয় এনে দেন।