অদ্ভুত চুলের ছাঁটে, সমালোচনায় নেইমার

খেলার মাঝে পাওয়া যায়নি চুলের ছাঁটের বৈচিত্র্য। ছবি: রয়টার্স
খেলার মাঝে পাওয়া যায়নি চুলের ছাঁটের বৈচিত্র্য। ছবি: রয়টার্স

‘স্টাইল আইকন’ হিসেবে নিজের সুনাম ভালোভাবেই কামিয়ে নিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। প্যারিসের বিভিন্ন র‍্যাম্প শোতে নিয়মিতই দেখা যায় তাঁকে। দেখা যায় বিভিন্ন রকম অদ্ভুত চুলের ছাঁটে, দেখা যায় অদ্ভুত সব পোশাকে। যা দেখে সবার তাক লেগে যায়! স্টাইল আইকন হওয়ায় এত দিন হয়তো তাঁর চুলের ছাঁট নিয়ে ব্রাজিলিয়ানরা কিছু বলেননি। কিন্তু বিশ্বকাপের মাঝে এ রকম চুলের ছাঁট দেওয়ার পর বাজে খেলা বেশ বিরক্তির উদ্রেক করেছে ব্রাজিলিয়ানদের।

গত বিশ্বকাপে কালো চুলের ছাঁট দিয়েই মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। কিন্তু এক ম্যাচ পরেই কালো চুল সাদা করে ফেলেন তিনি। সেবারের বিশ্বকাপে তাঁর চুলের ছাঁট নিয়ে তেমন কথা না উঠলেও এবারের বিশ্বকাপের ছাঁট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বয়ে যাচ্ছে সমালোচনার ঝড়। ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক টিম ভিকেরি নেইমারের চুলের ছাঁট নিয়ে বলেছেন, ‘নেইমারের অনেক বড় বড় জিনিস দেখানোর ক্ষমতা আছে কিন্তু সে মাঠে একটু বেশিই নিজেকে দেখায়। এই বিশ্বকাপে ভালো করতে এটা কমানোর প্রয়োজন আছে।’

নেইমারের চুলের ছাঁটকে অনেকেই বলছেন নুডলসের বাহার! যেন মাথায় করে নুডলসের বাটি নিয়ে ঘুরছেন। নিজের চুলকে কোঁকড়া করে সেই চুলে করেছেন সোনালি রং। অনেকটা ইতালিয়ান খাবার স্প্যাগেত্তির মতো লেগেছে। কেউবা বলছেন পাখির বাসা। বাংলাদেশি কেউ কেউ আবার বলেছেন, নেইমারের চুলের ছাঁটে সবচেয়ে খুশি হয়েছেন কেকা ফেরদৌসী! নুডলস নিয়ে যাঁর নিত্যনতুন কাজ কারবার।

ভিকেরি টুইটারে লিখেছেন, চুলের ছাঁট নিয়ে এতটা সমালোচনা হতো না, যদি তিনি সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের সেরা খেলাটা দিতে পারতেন। নিজের স্বাভাবিক খেলাটাও দেখাতে পারেননি নেইমার।

বিশ্বকাপের মাঠে নতুন এই চুলের ছাঁট দেওয়ায় ব্রাজিলিয়ানরা অন্যদের চেয়ে একধাপ এগিয়েই। ২০০২ সালের ফাইনালে রোনালদোর সেই বিখ্যাত চুলের ছাঁটের কথা কে না মনে রেখেছে! দেখা বাকি রোনালদোর মতো চুলের ছাঁটে রোনালদোর মতোই খেলতে পারেন কি না নেইমার।