সুন্দর ফুটবল ইংল্যান্ডও খেলে!

কেইনের শেষ গোলটাতেই দেখা গেছে পাসের ফুলঝুরি! ছবি: রয়টার্স
কেইনের শেষ গোলটাতেই দেখা গেছে পাসের ফুলঝুরি! ছবি: রয়টার্স
>

গতকাল পানামাকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছে ইংল্যান্ড। অসাধারণ পাসিং ফুটবলের পসরা সাজিয়ে ষষ্ঠ গোলটা করে তারা প্রমাণ করে দিয়েছে, চাইলে মনভোলানো ফুটবলও খেলতে পারে তারা

ডিফেন্স থেকে আক্রমণের বিল্ডআপটা শুরু হয় সেন্টারব্যাক কাইল ওয়াকারের পা থেকে। তারপর সেই আক্রমণে একে একে যোগ দেন হ্যারি ম্যাগুইরে, জন স্টোনস, জর্ডান হেন্ডারসন, কিয়েরান ট্রিপিয়ের, রুবেন লফটাস-চিক। একে অপরকে গুনে গুনে ২৫টা পাস দেওয়ার পর লফটাস-চিকের শটটা স্ট্রাইকার হ্যারি কেনের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে পানামার গোলরক্ষক পেনেদোকে পরাস্ত করে ঢুকে যায় জালে। আর এভাবেই গোল করার আগে ইংল্যান্ডও যে পাস দিয়ে দিয়ে সুন্দর ফুটবলের পসরা সাজিয়ে আক্রমণ শানাতে পারে, সেটা যেন তারা দেখিয়ে দিল নিঃশব্দে!

এর আগে বিশ্বকাপে গোলের আগে এত সফল পাস একসঙ্গে বিশ্ব দেখেছিল ২০০৬ সালে, আর্জেন্টিনা বনাম সার্বিয়া ও মন্টেনিগ্রোর সেই ম্যাচে। সেই ম্যাচটাতেও ফুটবল বিশ্ব দেখেছিল গোল-উৎসব। সার্বিয়া ও মন্টেনিগ্রোকে ৬-০ গোলে হারানোর সেই ম্যাচের তৃতীয় গোলটা এসেছিল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এস্তেবান ক্যাম্বিয়াসোর পা থেকে। সেই গোলের আগে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা সফল পাস আদান-প্রদান করেছিলেন ২৪ বার!

কালকের গোলটায় ২৫ পাসের মধ্যে অধিকাংশ পাসই এসেছে জন স্টোনস আর রাহিম স্টার্লিংয়ের পা থেকে। ক্লাব ক্যারিয়ারে এই দুজনই খেলেন পেপ গার্দিওলার অধীনে, ম্যানচেস্টার সিটিতে। পেপ গার্দিওলার কোচিংয়ের মূল দর্শন সব সময় পাসিং ফুটবলই ছিল। পাসিং ফুটবলের মাধ্যমে নিজের দলকে দিয়ে আক্রমণ রচনা করানোর জন্য পেপ গার্দিওলা সুবিখ্যাত। কালকে ইংল্যান্ডের এই সুন্দর ফুটবলের পেছনেও যে গার্দিওলার ‘হাত’ ছিল না, তা আদৌ বলার জো আছে কি?

২৫ পাসের সেই গোল। ছবি: টুইটার
২৫ পাসের সেই গোল। ছবি: টুইটার

পানামাকে ৬-১ গোলে হারানোর এই ম্যাচে অধিনায়ক হ্যারি কেন করেছেন হ্যাটট্রিক, জোড়া গোল করেছেন ডিফেন্ডার জন স্টোনস। বাকি গোলটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার জেসি লিনগার্ডের।