ব্রাজিলের হুমকি তো ডি ব্রুইনাই

>
ব্রাজিলকে আটকে দেওয়ার প্রধান অস্ত্র ডি ব্রুইনা, সে কথা ভালো করেই জানেন বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। ছবি: রয়টার্স
ব্রাজিলকে আটকে দেওয়ার প্রধান অস্ত্র ডি ব্রুইনা, সে কথা ভালো করেই জানেন বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। ছবি: রয়টার্স

কেভিন ডি ব্রুইনাকে ঘিরে বিশ্বকাপে বেলজিয়ামও বড় কিছু স্বপ্ন দেখছে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিশ্বকাপের ফেবারিট ব্রাজিলের। আর এই ম্যাচে ডি ব্রুইনাই ভরসা রেড ডেভিলদের

হ্যাজার্ড-লুকাকুদের সঙ্গে ম্যাচটি যে খুব সহজ হবে না, সেটি জানা আছে ব্রাজিলের। তবে সহজ বানিয়ে ফেলার উপায় আছে—শুধু একজনকে আটকাতে হবে সেলেসাওদের। কঠিন মুহূর্তে ম্যাচ বের করে আনার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা প্লেমেকার কেভিন ডি ব্রুইনা। ব্রাজিলের আছে কুতিনহো, আর বেলজিয়ামের আছে ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা।

ডি ব্রুইনার মতো একজন খেলোয়াড় থাকলে দলকে নিয়ে কত দূর যাওয়া যায়, সেটি দেখিয়েছেন পেপ গার্দিওলা। ম্যানচেস্টার সিটির খেলার মূল কারিগর এই প্লেমেকার। সিটির লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারে তাঁর ছিল বিরাট অবদান। ক্লাবের হয়ে গত মৌসুমে করেছেন ১৩ গোল। তবে ডি ব্রুইনার মূল পারদর্শিতা গোল করানোয়। সতীর্থদের দিয়ে ২১টি গোল করিয়েছেন। মৌসুমজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ সব মুহূর্তে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন একাই। অনেকের মতে বর্তমান বিশ্বের সেরা প্লেমেকার তিনিই। আর বিশ্বকাপে বেলজিয়াম মধ্য মাঠে ভরসা রাখছে ব্রুইনার ওপরই।

এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচে দৌড়েছেন ৩১.৫ কিলোমিটার। পাস দিয়েছেন ১৮০টি। এর মাঝে সতীর্থদের কাছে পৌঁছেছে ১৪৫টি। বেলজিয়াম কোচ মার্টিনেজও ব্রুইনার প্রশংসায় জানাচ্ছেন, ম্যাচে চাপের মধ্যেও মাথা ঠান্ডা করে খেলার অসাধারণ গুণ আছে ব্রুইনার, ‘আমি সব সময় মনে রাখব, জাপানের সঙ্গে ২-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর সেই দলকে বিশ্বাস করতে সহায়তা করেছিল যে আমাদের পক্ষে এখনো ম্যাচে ফেরা সম্ভব। এবং ওর সে কাজটিই আমাদের একটি দল হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। দলে তার ভূমিকায় আমি অত্যন্ত খুশি এবং তার ভূমিকাটি খুব ভালো করেই উপলব্ধি করতে পেরেছি। আমরা যেভাবে খেলতে চাই, সেটাও তার খুব ভালো জানা।’

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত হারের মুখ দেখেনি রেড ডেভিলরা, জিতেছে প্রতিটি ম্যাচেই। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে ব্রাজিলের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারে, এই সমীকরণও জানা ছিল তাদের। তবু কোনো ম্যাচকে হালকা করে নেয়নি বেলজিয়াম। আর বিশ্বকাপে সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচে দল খুব করে তাকিয়ে থাকবে নম্বর সেভেনের দিকে। বড় ম্যাচে ঠান্ডা মাথায় শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাওয়ার বিশেষ গুণটি যদি নেইমার-কুতিনহোদের বিপক্ষে দেখাতে পারেন, ব্রাজিলের চিন্তার সবচেয়ে বড় কারণ হবেন ডি ব্রুইনাই।