আসল হ্যাজার্ড, নকল হ্যাজার্ড!

হলোগ্রাম সাক্ষাৎকারে মনে হবে হ্যাজার্ড স্টুডিওতে বসে, আসলে তিনি তখন কথা বলেছেন ড্রেসিংরুমে বসে।
হলোগ্রাম সাক্ষাৎকারে মনে হবে হ্যাজার্ড স্টুডিওতে বসে, আসলে তিনি তখন কথা বলেছেন ড্রেসিংরুমে বসে।
>মাঠেই দুর্দান্ত খেলেননি, বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের অন্যতম সদস্য হ্যাজার্ড চমকে দিলেন ব্যতিক্রম এক সাক্ষাৎকার দিয়ে। বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডের এই হলোগ্রাম সাক্ষাৎকার দেখে বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই

বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের স্বপ্ন থেমে গেছে সেমিফাইনালে। তবে এই বিশ্বকাপে বেলজিয়াম যে দুর্দান্ত খেলেছে, ফুটবলপ্রেমীদের মনে রাখতে হবে বহুদিন। বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এডেন হ্যাজার্ড শুধু মাঠে নয়, চমকে দিলেন মাঠের বাইরেও। প্রযুক্তির উৎকর্ষে শুধু ফুটবলই এগোয়নি, এগিয়েছে আরও অনেক কিছু, সেটিই দেখা গেল হ্যাজার্ডের এক সাক্ষাৎকারে।

৬ জুলাই কাজানে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারিয়ে বেলজিয়ামের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘লা উনে’র সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিলেন হ্যাজার্ড। ফোনে নয়, সামাজিক যোগাযোগের কোনো অ্যাপও ব্যবহার করে নয়। বেলজিয়াম তারকা সাক্ষাৎকার দিলেন স্টুডিওতে ‘উপস্থিত’ হয়ে! কীভাবে সম্ভব? হ্যাজার্ড তখনো তো কাজানের ড্রেসিংরুমে। কিন্তু টিভিতে দেখা যাচ্ছে যে হ্যাজার্ডকে, তিনি কে?

কোথাও ভুল হয়নি, টিভি চ্যানেলও দর্শকদের সঙ্গে প্রতারণা করেনি। হ্যাজার্ড দিয়েছেন হলোগ্রাম সাক্ষাৎকার। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর পুরো বেলজিয়ামে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের রেণু। এই আনন্দের মুহূর্তে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে দর্শকদের সামনে আসেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড। ড্রেসিংরুমে ক্যামেরার সামনে যেভাবে বসে কথা বলেছেন, হলোগ্রাম প্রযুক্তির মাধ্যমে অবিকল একই চিত্র এসেছে স্টুডিওতে। যেটি দেখে মনে হবে সত্যি সত্যি শারীরিকভাবে স্টুডিওতে উপস্থিত আছেন হ্যাজার্ড। প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন উপস্থাপকদের দিকে তাকিয়ে।

এখন হরহামেশাই হলিউড-বলিউড সিনেমাতে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ শেষে কোনো খেলোয়াড়ের ড্রেসিংরুমে বসে এভাবে সাক্ষাৎকার দেওয়াটা ব্যতিক্রমই বটে।