ভারতেরও আছে এখন অ্যাথলেটিকসের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন

দৌড় শেষে হিমার মুখে ইতিহাস গড়ার হাসি। ছবি: রয়টার্স
দৌড় শেষে হিমার মুখে ইতিহাস গড়ার হাসি। ছবি: রয়টার্স
ফিনল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ৪০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতে ইতিহাস গড়েছেন ভারতের হিমা দাশ


স্বপ্নের এক দৌড়। মাত্র ৪০০ মিটার দূরত্ব, কিন্তু এই দূরত্বেই শত শত মাইল পেরিয়ে গেলেন হিমা দাশ। ভারতকে এনে দিলেন এক অমৃত স্বাদ। ভারতের ইতিহাসে প্রথম নারী অ্যাথলেট হিসেবে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয়ের নজির গড়লেন ১৮ বছর বয়সী হিমা।

ফিনল্যান্ডে আইএএএফ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের ৪০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছেন আসামের এই দৌড়বিদ। ভারতের ইতিহাসে প্রথম নারী অ্যাথলেট হিসেবে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হওয়ার নজির গড়লেন ১৮ বছর বয়সী হিমা। শুধু তা–ই নয়, ভারতের প্রথম ট্র্যাক অ্যাথলেট হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের যেকোনো বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে প্রথম স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তিও এখন কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা এই মেয়ের।

অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে এর আগে ভারতের সেরা অর্জন ছিল নীরাজ চোপড়ার দখলে। ২০১৬ সালেও সোনা জিতেছিলেন চোপড়া। সেটা ছিল ফিল্ড ইভেন্ট বর্শা নিক্ষেপ। এই প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে এর আগে পদক জিতেছেন সীমা পুনিয়া (২০০২, ব্রোঞ্জ, ডিসকাস থ্রো), নভজিৎ কাউর ধীলন (২০১৪, ব্রোঞ্জ, ডিসকাস থ্রো)।

এবার অ্যাথলেটিকস থেকে দেশকে একেবারে সোনাই এনে দিলেন হিমা। বৃহস্পতিবার ৫১.৪৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে সবার আগে দৌড় শেষ করেন তিনি। ৫২.০৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় রোমানিয়ার আন্দ্রেয়া মিকলোস। যুক্তরাষ্ট্রের টেলর ম্যানশন তৃতীয় (৫২.২৮ সেকেন্ড)।

হিমার এই কীর্তিতে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘অ্যাথলেট হিমা দাশকে নিয়ে ভারত আনন্দিত ও গর্বিত।’ আর হিমার নিজের কী অনুভূতি? ঐতিহাসিক জয়ের পর ভারতের সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘দেশকে একটি পদক এনে দেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। ভারতীয়দের এই উপহার দিতে পেরে আমি ভীষণ গর্বিত। ভারতের জাতীয় সংগীত বাজাতে চেয়েছিলাম এবং তা করতে পারার আনন্দে কেঁদেছি।’