নাদালকে হারিয়ে ১৩ এর পথে জোকোভিচ

নাদালকে হারিয়ে দীর্ঘদিন পরে স্বরূপে ফিরলেন নোভাক জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স
নাদালকে হারিয়ে দীর্ঘদিন পরে স্বরূপে ফিরলেন নোভাক জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স
অনেক দিন মাঠের বাইরে ছিলেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। আবার ফিরেছেন টেনিস কোর্টে। উইম্বলডনের সেমিফাইনালে শীর্ষ বাছাই রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছেন জোকোভিচ


শীর্ষ বাছাই রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে উইম্বলডনের ফাইনাল উঠে গেলেন নোভাক জোকোভিচ। ২০১৫ সালের পর ছেলেদের এককে আবার ফাইনালে উঠলেন তিনবারের উইম্বলডনজয়ী সার্বিয়ার এই টেনিস তারকা। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নাদালকে ৬-৪,৩-৬, ৭-৬ (১১-৯),৩-৬, ১০-৮ গেমে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন জোকোভিচ। আগামীকাল ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কেভিন অ্যান্ডারসনের মুখোমুখি হবেন সাবেক বিশ্বসেরা।

গতকাল দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ২-১ সেটে এগিয়ে ছিলেন জোকোভিচ। রাত ১১টার পর খেলা থামার নিয়ম থাকায় খেলা গড়ায় আজ। আজ চতুর্থ সেট অনায়াসে নিজের করে নিয়েছেন নাদাল। ৬-৩ গেমে জিতে ম্যাচ পঞ্চম সেটে নিয়েছেন স্প্যানিশ তারকা। পঞ্চম সেটে ৬-৬ পর্যন্ত সমতা থাকায়, টাইব্রেকে যায় ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত ১০-৮ গেমে জিতে ফাইনালে চলে আসেন জোকোভিচ।

উন্মুক্ত যুগে নাদাল-জোকোভিচের মতো দ্বৈরথ আর দেখেনি টেনিস বিশ্ব। এই সেমিফাইনালের আগপর্যন্ত এরা দুজন মুখোমুখি হয়েছেন ৫১ বার। ২৬টি জয়ে নাদালের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন সার্বিয়ান এই টেনিস তারকা। এই ম্যাচে জয়ে নিজের রেকর্ড আরও ভারী করে নিলেন তিনি।

এর আগেও উইম্বলডনে দুবার মুখোমুখি হয়েছেন তারা। ২০০৭ সালের সেমিফাইনালে জোকোভিচ চোটের কারণে নাম সরিয়ে নেওয়ায় ফাইনালে উঠে যান নাদাল। জোকোভিচ প্রতিশোধ নেওয়ায় সুযোগ পান চার বছর পর। সেবার ফাইনালে জয়ী হন জোকোভিচই। দুদিন লম্বা এক সেমিফাইনাল শেষে ক্লান্তির কথাই জানালেন জোকোভিচকে, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন, এখানে আসার জন্য বিগত ১৪ মাস আমাকে যা কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় ম্যাচ খেলার পর অন্যতম সেরা আরেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে ফাইনাল খেলা। আমি ক্লান্ত!’