ভারতের ম্যাচে আগেই জিতে গেলেন যারা

সেই মাহেন্দ্রক্ষণ!
সেই মাহেন্দ্রক্ষণ!

‘আমার মনে হচ্ছে এখানে বিশেষ কিছু হতে যাচ্ছে!’

ডেভিড লয়েড যখন খেলা ফেলে গ্যালারির কোথাও নজর দিতে বলেন, নজর দিতেই হয়। দৃশ্যপটে তখন দুই ভারতীয় তরুণ তরুণী। ইতস্তত ভঙ্গিতে ইতিউতি তাকাচ্ছেন তরুণ। ওদিকে সঙ্গীর হঠাৎ এমন আচরণে দ্বিধাগ্রস্ত তরুণী। ততক্ষণে লয়েডের উত্তেজিত কণ্ঠ নাম জানিয়ে দিয়েছে দুজনের নাম, ‘চারান ও পাভান।’ উপমহাদেশীয় উচ্চারণে অবশ্য চরণ আর পবন হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত!

এনবিএ যারা দেখেন কিংবা হলিউডি চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজ, তারা ততক্ষণে বুঝে গেছেন কী হচ্ছে। ব্রডকাস্টিং চ্যানেলকে আগেই বলে রেখেছেন এ তরুণ, প্রেয়সীকে চমকে দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন তিনি। ক্যামেরা নিজের ওপর বুঝতে পেরে হাঁটু গেড়ে বসলেন তরুণ, আংটি বাড়িয়ে ধরলেন প্রেমিকার দিকে। লয়েদের উত্তেজিত কণ্ঠের চেয়ে মজা জাগাল ব্রডকাস্টাররা। স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ডিসিশন পেন্ডিং!’ তৃতীয় আম্পায়ারের জন্য নির্ধারিত এ সিদ্ধান্ত দেখে নির্ঘাত বুক ঢিপ ঢিপ করছিল তরুণের। কারণ, ততক্ষণে এ দৃশ্য মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনেও দেখানো হচ্ছে।

তরুণী হতাশ করলেন না। তরুণের হৃৎকম্পন মাত্র দুই তিন সেকেন্ডের জন্য থামিয়ে রাখার পরই জানিয়ে দিলেন সে সুখবর, ‘হ্যাঁ, তিনি বিয়েতে রাজি।’ স্ক্রিনের লেখা পড়তে যদি কারও অসুবিধাও হয়ে থাকে তাঁরও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ লয়েড যে চিৎকার করে জানিয়ে দিচ্ছেন, ‘সে হ্যাঁ বলেছে, সে হ্যাঁ বলেছে। কী দারুণ সিদ্ধান্ত, অসাধারণ। চারান ও পাভান, অভিনন্দন। কী দারুণ একটা দিন!’

এমন ঘটনার পরই ক্যামেরা ফিরল মাঠে। ২৪তম ওভার করতে আসা যুজবেন্দ্র চাহালও যে ব্যাপারটায় আনন্দ পেয়েছেন সেটা বুঝিয়ে দিলেন হাততালি দিয়ে। এমন ঘটনার পরও ম্যাচে নিজেদের মনঃসংযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হয়নি ইংল্যান্ডের। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩২২ রান তুলেছে স্বাগতিক দল। জবাবে ৩০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৪৮ রান ভারতের।

তবে আজ ম্যাচে যে দলই জিতুক না কেন, আসল বিজয়ী কিন্তু লয়েডের ‘চারান ও পাভান!’