৩৪২ দিন ধরে ছুটি মিলছে না যাঁদের

এ মৌসুমে সেই যে খেলা শুরু করেছেন, থামছেন না। কে বলবে তিনি ক্লান্ত! ছবি: রয়টার্স
এ মৌসুমে সেই যে খেলা শুরু করেছেন, থামছেন না। কে বলবে তিনি ক্লান্ত! ছবি: রয়টার্স
>ক্লাব মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ১০ মাস ব্যস্ত থাকতে হয় ফুটবলারদের। বছরে দেড় মাস ছুটি পান সর্বোচ্চ। বিশ্বকাপের বছরে সেই ছুটি নেমে আসে দুই সপ্তাহে। এ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪ জন খেলোয়াড় আছেন, যাঁরা ১১ মাস ৪ দিন ধরে টানা খেলছেন

ছুটির আনন্দটা ছোটদেরই বেশি ছুঁয়ে যায়। স্কুলে শেষ পিরিয়ডের ছুটির ঘণ্টা বাজার মতো মধুর আওয়াজ পৃথিবীজুড়েই বিরল। আবার চাকুরেদের আগ্রহ দেখা যায় সপ্তাহে দুদিন ছুটির জন্য। তবে ইউরোপিয়ান ক্লাবে খেলা খেলোয়াড়দের জীবনে ছুটি যেন সোনার হরিণ।

৮ আগস্ট ২০১৭ সাল। উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ আর ইউরোপা লিগ জয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আজ ১৫ জুলাই ২০১৮। বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স আর ক্রোয়েশিয়া। ৪ জন খেলোয়াড় সেদিনও ছিলেন মাঠে, আজকেও খেলবেন। রাফায়েল ভারানে, পল পগবা, লুকা মদরিচ ও মাতেও কোভাচিচ। ১১ মাস ৬ দিন হয়ে গেছে, তাঁদের ছুটি নেই!

৩৪২ দিন ধরে খেলে যাচ্ছেন এই চার ফুটবলার। গত আগস্টে রিয়ালের হয়ে জিতেছিলেন মদরিচ-ভারানে-কোভাচিচ, হেরে গিয়েছিলেন ইউনাইটেডের পগবা। আজ অবশ্য পগবা আর একা নন, সঙ্গে পাচ্ছেন ভারানে। আর ক্লাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেললেও ফুটবলের সবচেয়ে বড় ম্যাচটিতে প্রতিপক্ষ হয়ে নামবেন আজ ভারানে-মদরিচ।

এ মৌসুমে যে ফুটবলার ছুটির বড় দাবিদার, তিনি মদরিচ। রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬ ম্যাচে খেলেছেন ৬০৪ মিনিট। ৬৩ কিলোমিটার অতিক্রম করেছেন। তাঁর ক্লাব ও জাতীয় দলের সতীর্থ কোভাচিচ খেলেছেন ৫ ম্যাচ। ২৫ বছর বয়সী ফ্রান্সের রক্ষণের মূল ভরসা রাফায়েল ভারান বিশ্বকাপে খেলছেন ৬টি ম্যাচের প্রতিটিতেই। মাঠে ছিলেন ৫৪০ মিনিট। ৫৩.৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছেন। বিশ্বকাপে পগবা খেলেছেন ৫ ম্যাচ।

আজকের পরই ছুটি মিলবে এ চারজনের। প্রাক্ মৌসুমে অন্যরা ক্লাবে যোগ দিলেও বাড়তি কয়েক দিন বাড়িতে আলস্যে সময় কাটাবেন এঁরা। বিশ্বকাপ জিততে পারলে জীবনের শ্রেষ্ঠ ছুটিটাই জুটবে!