খেলছেন মদরিচ-রাকিতিচ, টাকা পাচ্ছে রিয়াল-বার্সা

খেলছেন মদরিচ-রাকিতিচ, টাকা পাচ্ছে রিয়াল-বার্সা
খেলছেন মদরিচ-রাকিতিচ, টাকা পাচ্ছে রিয়াল-বার্সা

অপেক্ষা শেষ, কিছুক্ষণ পরেই জানা যাবে চার বছরের জন্য বিশ্বসেরা ডাকা হবে কাদের। লুঝনিকি স্টেডিয়ামে দেশকে অধরা ট্রফির স্বাদ এনে দিতে নামবেন লুকা মদরিচ-ইভান রাকিতিচরা। আর ২০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটানোর প্রতিজ্ঞা নিয়ে খেলবেন ভারানে-গ্রিজমানরা। আর তাঁদের এ ঘাম ঝরানোর সুফল পাবে ইউরোপের বড় বড় সব ক্লাব

বিশ্বকাপ শুরুর আগেই একটি রেকর্ড গড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১৮ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৬ জন খেলোয়াড় সরবরাহ করেছে সিটি। এবারের বিশ্বকাপের ৭৩৬ জন খেলোয়াড় এসেছেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ৩৮৪টি ক্লাব থেকে। আজ অবশ্য পেপ গার্দিওলার দলের একজনই আছে মাঠে, ফ্রান্সের বেঞ্জামিন মেন্দি। ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া মিলিয়ে সর্বোচ্চ তিনজন করে খেলোয়াড় আছে পাঁচটি ক্লাবের। ফাইনালের ৪৬ জনের এক-তৃতীয়াংশই রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, পিএসজি, মার্শেই ও মোনাকো থেকে এসেছেন।

খেলোয়াড়দের চোটের ঝুঁকি নিয়েও ফিফার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়ায় ক্লাবগুলোকে প্রণোদনা দেয়। ক্লাবগুলোকে প্রণোদনা দেওয়ার এই উদ্যোগ দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ বিশ্বকাপ থেকে নিয়েছে ফিফা। ফাইনালে উপস্থিতি কম হলেও ফিফার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচ্ছে সিটি। বিশ্বকাপ থেকে সিটির মোট আয় ৩৯ লাখ পাউন্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় স্পেনের ক্লাব রিয়ালের। এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ জন খেলোয়াড় সরবরাহ করে রিয়ালের আয়টা ৩৮ লাখ পাউন্ড। বার্সেলোনা ৩২ লাখ পাউন্ড পেয়েছে তাদের ১৪ জন খেলোয়াড় বিশ্বকাপে খেলায়।

যে ক্লাবের খেলোয়াড় যত বেশি দিন বিশ্বকাপে ছিলেন, সে দলের আয়ও তত বেশি হয়েছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রতি খেলোয়াড় যত দিন ছিলেন, সেই হিসাবে প্রতিদিনের জন্য তাঁর ক্লাবকে ৬ হাজার ৪৬০ পাউন্ড করে দিয়েছে ফিফা। অর্থ বণ্টনের হিসাবটা শুরু হয়েছে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের দুই সপ্তাহ আগে থেকে।

১২ জন করে খেলোয়াড় ছিল টটেনহাম, পিএসজি ও চেলসির। তবে আয়ের দিক থেকে এ তিন ক্লাবের মধ্যে এগিয়ে চেলসি, ৩৫ লাখ পাউন্ড পেয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি আছে তালিকার তিন নম্বরে। এরপরই টটেনহাম। মরিসিও পচেত্তিনোর দলের ১২ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ৯ জনই যে সেমিফাইনালে খেলেছেন। সব মিলিয়ে ক্লাবটির বিশ্বকাপ-আয় ৩৪ লাখ পাউন্ড।

ফিফার কাছ থেকে ক্লাবগুলোর প্রাপ্তি

১. ম্যানচেস্টার সিটি

৩৯ লাখ পাউন্ড (৪৩ কোটি ২২ লাখ টাকা)

২. রিয়াল মাদ্রিদ

৩৮ লাখ পাউন্ড (৪২ কোটি ১১ লাখ টাকা )

৩. চেলসি

৩৫ লাখ পাউন্ড (৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা)

৪. টটেনহাম

৩৪ লাখ পাউন্ড (৩৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা)

৫. বার্সেলোনা

৩২ লাখ পাউন্ড (৩৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা)

৬. পিএসজি

৩২ লাখ পাউন্ড (৩৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা)

৭. ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

৩০ লাখ পাউন্ড (৩৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা)

৮. মোনাকো

২৭ লাখ পাউন্ড (২৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা)

৯. অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ

২৪ লাখ পাউন্ড (২৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা)

১০. জুভেন্টাস

২২ লাখ পাউন্ড (২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা)