ব্যালন ডি'অরও জিতবেন এমবাপ্পে!

বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছিলেন ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছিলেন ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছবি: রয়টার্স
মাত্র সাড়ে ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন! সেরা উদীয়মান ফুটবলারের খেতাবও। কিলিয়ান এমবাপ্পের হাতে ব্যালন ডি’অর দেখছেন ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা রিও ফার্ডিনান্ড


লিওনেল মেসি, না হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো! বছরের নির্ধারিত সময়ে যেকোনো একজনের মাথাতেই ওঠে ফিফা ব্যালন ডি’অরের মুকুট। দৃশ্যটা যেন একেবারেই সাজানো চিত্রনাট্যের মতো হয়ে উঠেছে। কম তো হলো না, সেই ২০০৮ সাল থেকে পাল্লা দিয়ে চলছে দুজনের বিশ্বসেরা ফুটবলার হওয়ার দৌড়। মেসির নামের পাশে পাঁচটি, রোনালদোর নামের পাশেও তা-ই। এবার কি অন্য রকম কিছু হতে চলেছে!

হয়তো! যদিও এখনো রোনালদোর দিকে পাল্লা অনেক ভারী, তবে বিশ্বকাপের বছরে এই টুর্নামেন্টের সাফল্য অনেকটাই এগিয়ে দেয় এই আসরের সফলদের। ফিফা বর্ষসেরার সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়ায় এই পুরস্কার ভোটাভুটির অধিকার আবার শুধু সাংবাদিকদের কাছে থাকল। এ কারণে অনেকে মনে করছেন, ব্যালন ডি’অর এবার এমবাপ্পের কাছে যেতে পারে। তা-ও মাত্র ১৯ বছর বয়সে!
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার রিও ফার্ডিনান্ডও তা-ই মনে করেন। মেসি ও রোনালদো শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এমবাপ্পের কাছে চলে আসা সময়ের ব্যাপার বলে মনে করেন ফার্ডিনান্ড।
রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে যে এমবাপ্পে ছিলেন একজন উঠতি প্রতিভা, সেই তিনি এখন বিশ্ব ফুটবলের আগামী প্রজন্মের অন্যতম আশার আলো। বিশ্বকাপে শুধু ৪টি গোলই করেননি, দুটি করিয়েছেন। তাঁর প্রতিটি পাস ও মুভে ছড়িয়েছে ফরাসি সৌরভ। স্বীকৃতিস্বরূপ হাতেও উঠেছে বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান ফুটবলারের খেতাব। এমবাপ্পের আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখন। ফার্ডিনান্ড বলছেন, “এমবাপ্পে সেই ফুটবলার যে ভবিষ্যতে ব্যালন ডি’অরের জন্য পোডিয়ামে দাঁড়াতে যাচ্ছে।”
এমবাপ্পে এখন খেলেন পিএসজিতে। তবে সামনে ইউরোপের আরও বড় ক্লাবগুলো তাঁকে নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে দেবে। রিয়াল মাদ্রিদ তো এই মৌসুমেই চাইছিল। বিশ্বকাপে আলো ছড়ানোদের বিশ্বকাপের পরপরই ক্লাবে টেনে নিয়ে আসার ঐতিহ্যও আছে স্পেনের ক্লাবটির। এমবাপ্পে যদিও না বলে দিয়েছেন, বলেছেন পিএসজিতেই থাকবেন। তবে ভবিষ্যতের কথা তো এখনই কেউ বলতে পারে না!
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ফুটবলার হিসেবে ফার্ডিনান্ডের আশা, লাল জার্সিতেই দেখা যাবে এমবাপ্পেকে। পল পগবা এরই মধ্যে এই ক্লাবে এসেছেন। পগবা-এমবাপ্পের সম্পর্ক এই উঠতি প্রতিভাকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিয়ে আসার প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে। ফার্ডিনান্ডের তেমনটাই অনুমান, ‘আশা করি, আমার সাবেক ক্লাব এমবাপ্পেকে পাওয়ার চেষ্টা করছে। তার সঙ্গে পগবার ভালো সম্পর্ক আছে।’