মেসিকে হারিয়েই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখেছে ফ্রান্স

>
এমবাপ্পেকে সামলাতেই পারেনি আর্জেন্টিনা। ছবি: রয়টার্স
এমবাপ্পেকে সামলাতেই পারেনি আর্জেন্টিনা। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বকাপে ফেবারিটের তকমা নিয়েই খেলতে এসেছিল ফ্রান্স। কিন্তু দলটি যে সত্যিই সত্যিই বিশ্বকাপ জিততে পারে, সে বিশ্বাসটা ফরাসি ফুটবলাররা নাকি পেয়েছিলেন দ্বিতীয় রাউন্ডে মেসির আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই। সে ম্যাচে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও ফ্রান্স আর্জেন্টিনাকে হারায় ৪-৩ গোলে!

রাশিয়া বিশ্বকাপ এবার উজাড় করে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচ থেকেই যে উত্তেজনার রেণু ছড়িয়েছে, সেটির কমতি ঘটেনি প্রতিযোগিতার কোনো পর্যায়েই। এমন এক বিশ্বকাপে ফেবারিটের তকমা নিয়েও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা একমাত্র দল ছিল ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত শিরোপাও জিতে নিয়েছে তারা। এ জয়ের অনুপ্রেরণা মেসির আর্জেন্টিনা!

বিশ্বকাপের শুরু থেকেই বড় দলের বিদায়পর্ব চলেছে। গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পরেছে জার্মানি। আরেক ফেবারিট স্পেন বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলোতে। আর্জেন্টিনাও বিদায় নিয়েছে এ পর্বে। ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেই শক্তি ফুরিয়ে ফেলেছে। এমন উত্থান–পতনের বিশ্বকাপেও ঠিকই কাজের কাজটা করে নিয়েছে ফ্রান্স। অধিনায়ক হুগো লরিস বলছেন, তাঁরা যে বিশ্বকাপ জিততে পারেন—এ বিশ্বাসটা তাঁরা পেয়েছেন শেষ ষোলোতেই। যেদিন তাঁরা আর্জেন্টিনাকে হারালেন।

ওমনিস্পোর্টসের সঙ্গে আলোচনায় লরিস বলেছেন, ‘আমরা আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছি...মেসির আর্জেন্টিনাকে। এরপরই আমরা বুঝতে পারলাম, আমাদের বিশ্বকাপ জেতার প্রবল সম্ভাবনা আছে।’ সে ম্যাচে একপর্যায়ে ২-১ গোলে পিছিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু এরপরও হাল ছাড়েনি ফ্রান্স। মাত্র ১০ মিনিটের এক ঝড়েই স্কোরলাইন ৪-২ করে ফেলে ফ্রান্স। পরে ৪-৩ ব্যবধানের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে ফ্রান্স।

এমন এক জয়ের পর উরুগুয়ে, বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে নাকি খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ফ্রান্সের। লরিসের ভাষায়, ‘নিজেদের খুব শক্ত দল মনে হলো, যারা চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। সেই ম্যাচের পর একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, শেষ পর্যন্ত আসল বিজয়ের দেখাও পেয়েছি। সব ম্যাচই কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা খুব ভালো করেছি।’