ওয়ার্নার প্রস্তুত হচ্ছেন বিশ্বকাপের জন্য

প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন ওয়ার্নার। ছবি: এবিসি
প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন ওয়ার্নার। ছবি: এবিসি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা জুটেছে ডেভিড ওয়ার্নারের। বল বিকৃতির দায়ে এভাবে এক বছর জীবন থেকে হারিয়ে ফেলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার খুব কঠিন। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পরই ওয়ানডে বিশ্বকাপ। মাত্রই ক্রিকেটে ফেরা একজনের পক্ষে বিশ্বকাপের দলে জাগা করা কঠিন। তবে ওয়ার্নার হাল ছাড়ছেন না, এখনো স্বপ্ন দেখেন ইংল্যান্ডের বিমানে থাকা ১৫ জনের মাঝে থাকবেন।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া নিষেধাজ্ঞার চতুর্থ মাস চলছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফেরা সম্ভব না হলেও ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন ওয়ার্নার। কিছুদিন আগেই কানাডায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন, আর আজ শনিবার ডারউইনের গ্রেড ক্রিকেটে খেলতে নেমেছিলেন সিটি সাইক্লোনসের হয়ে। ৩২ বলের ইনিংসে ৩৬ রান করেছেন আজ। গ্রেড ক্রিকেট খেলেই ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি খুঁজে নিচ্ছেন ওয়ার্নার, ‘আমি জানি এটা আমার পক্ষে ভালো হবে। আপনি রাতারাতি ফর্ম হারিয়ে ফেলেন না। আমি প্রতিদিনের মতোই জেগে উঠব, মিচেল স্টার্ক, কামিন্স, হ্যাজলউড-সেরা বোলারদের মুখোমুখি হব। অনুশীলনে যদি নিয়মিত তাদের খেলতে পারি, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আগের জায়গাতেই ফেরত যাব।’

বিশ্বকাপের আগেই অবশ্য বড় একটি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবেন। আইপিএলের আগেই শেষ হবে নিষেধাজ্ঞা। ওয়ার্নারের আশা এই টুর্নামেন্ট দিয়েই বিশ্বকাপের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম ফিরে পাবেন, ‘অনেক প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। বিশ্বকাপের আগেই আইপিএল আছে। সেখানে প্রচুর ক্রিকেট খেলা হবে, বিশ্বসেরা অসংখ্য ক্রিকেটার থাকবে যাদের সঙ্গে খেললে আমার প্রস্তুতি হয়ে যাবে।’ গ্রেড ক্রিকেটও যে উপভোগ করছেন, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন এক ফাঁকে, ‘আমি এখানে এসেছি ক্রিকেট খেলতে এবং এটা করতে ভালো লাগছে। আমি যদি ব্যাপারটা ভালোবাসতাম না, তবে এখানে আসতাম না, যে দলের জন্য খেলি সর্বোচ্চ দিতাম না। অবসর নিয়ে নিতাম। এটা হলো ছোট ছোট ধাপ, যা আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আগামী আট মাস যে দলের হয়েই খেলার সুযোগ পাই, আমাকে রান করতে হবে।’

যতই গ্রেড ক্রিকেট কিংবা টি-টোয়েন্টি লিগ খেলুন না কেন, একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের জন্য এগুলো তেমন কিছুই নয়। ব্যস্ত সূচিতে অভ্যস্ত ওয়ার্নারের জন্য আগামী আট মাস লম্বা এক ছুটি মনে হবে। সাবেক সহ–অধিনায়ক অবশ্য ব্যাপারটা উপভোগ করছেন, ‘গত সাত বছরে সর্বোচ্চ টানা ছয় সপ্তাহ ছুটি পেয়েছি। কানাডা যাওয়ার আগে যে ১২ সপ্তাহ কাটিয়েছি সেটা দারুণ ছিল। এর ফলে মানুষ হিসেবে আমি কী করছি, সেটা নিয়ে ভাবতে পেরেছি। শুধুই একজন বাবা ও স্বামী হিসেবে সময় কাটিয়েছি। এটা দারুণ ছিল, আমি খুব উপভোগ করেছি।’