রোনালদোরই জয় হলো

লাল কার্ড দেখে কেঁদে ফেললেন রোনালদো। ছবি: এএফপি
লাল কার্ড দেখে কেঁদে ফেললেন রোনালদো। ছবি: এএফপি
>চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতেছে জুভেন্টাস। পেনাল্টি থেকে দুটি গোলই করেছেন পিজানিচ। 

জুভেন্টাসের চোখ এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপায়। ইউরোপের সেরা দল হওয়ার এই লড়াইয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে সফল আর কে আছে! সে জন্যই এই রোনালদোকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে দলে ভেড়াতে একটুও ভাবেনি জুভেন্টাস। অথচ চ্যাম্পিয়নস লিগে মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তের বলি হলেন সাবেক রিয়াল তারকা! লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন প্রথমার্ধের খেলা শেষ না হতেই। টেলিভিশন রিপ্লেই বলে দিচ্ছে মাঠে কত বড় অবিচারের শিকার হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা।
নিজেদের সেরা অস্ত্র হারিয়ে ভেঙে পড়েনি জুভেন্টাস; বরং কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলেছে। নিয়েছে প্রতিশোধ। দুই পেনাল্টি পেয়ে দুটিই কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়েছেন ২-০ গোলে।
শুরু থেকেই অবশ্য ম্যাচে বলের দখল ছিল ভ্যালেন্সিয়ার। কিন্তু গোল করার মতো সুযোগ তৈরি করে জুভেন্টাসই। রোনালদোর শট বাইরে বেরিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের শরীরে লেগে। পরের মিনিটেই আবার জুভেন্টাসের বের্নাদেশিচের শট ভ্যালেন্সিয়ার পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ১৭তম মিনিটে রোনালদোর ক্রস থেকে বল পেয়ে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন স্যামি খেদিরা। ২১ মিনিটে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করে জুভেন্টাস। ২৯ মিনিটে কপাল পোড়ে রোনালদোর। লাল কার্ড দেখেন। কিন্তু টেলিভিশন রিপ্লে ভালোভাবেই দেখিয়ে দেয় কতটা দুর্ভাগ্যের শিকার তিনি।
রোনালদোর উঠে যাওয়ার পরেও নিজেদের ঠান্ডা রেখেছিল জুভেন্টাস। বেশ রয়ে-সয়ে গুছিয়ে উঠে খেলতে থাকে তারা। পাল্টা আক্রমণকেই প্রধান অস্ত্র বানিয়ে ভ্যালেন্সিয়াকে জব্দ করার পরিকল্পনা করেন কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। ৪৩ মিনিটে প্রথম পেনাল্টিটি পায় জুভেন্টাস। পিয়ানিচ ঠান্ডা মাথায় বল জালে ঠেলে দলকে এগিয়ে নেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মুরিলোর ফাউলের শিকার হন জুভেন্টাসের খেলোয়াড়। আবারও পেনাল্টি। এবারও পেনাল্টি নেওয়ার দায়িত্ব ছিল ওই পিয়ানিচের কাঁধেই। তিনি কোনো ভুল করেননি। দশজন নিয়ে খেললেও ম্যাচের বাকি সময়টা নিজেদের রক্ষণ দুর্ভেদ্যই রাখতে পেরেছিল জুভেন্টাস। যদিও ম্যাচের যোগ করা সময়ে ভ্যালেন্সিয়া পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দানিয়েল পারেজোর শটটি আটকে দেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি।

শেষ পর্যন্ত জয় পেলেও সেটি কিন্তু রোনালদোর প্রতি অন্যায়টা মোটেও ভুলতে দিচ্ছে না জুভেন্টাসকে।